খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক: মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুইবার ভোটার হওয়া এবং দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ায় করোনা টেস্ট জালিয়াতিতে গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রবিবার রাতে নির্বাচন কমিশনের গুলশান শাখার নির্বাচন কর্মকর্তা মমিন মিয়া বাড্ডা থানায় বাদী হয়ে এই মামলাটি করেন।
সোমবার সকালে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি বলেন, সাবরিনাকে আসামি করে নির্বাচন কমিশনের গুলশান শাখার নির্বাচন অফিসার আব্দুল মমিন মিয়া মামলাটি করেছেন। সাবরিনা দু্টি ভোটার আইডি কার্ড করেছেন, একটি মোহাম্মদপুর আরেকটি আমাদের বাড্ডায়। একজন লোক দুটি ভোটার আইডি করার কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ২০১০ এর ১৪ ও ১৫ ধারায় এই এজাহার দায়ের করেছেন।’
বাড্ডা থানায় মামলা দায়েরের কারণ হিসেবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তার দুটি আইডির মধ্যে মোহাম্মদপুরের আইডিটা আগে করা হয়েছে। বাড্ডা এলাকায় আইডি কার্ড নিবন্ধনের ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যা অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। এতে নির্বাচন কমিশনের ২০১০ এর ১৪ ও ১৫ ধারা ভঙ্গ হয়েছে। তাই মামলা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট দুদকের অনুসন্ধানে সাবরিনার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে দুদকের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানানো হয়। নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে সাবরিনার নাম, বয়স, পিতা ও স্বামীর নামের ভিন্নতা ও মোহাম্মদপুরের আদাবর এবং বাড্ডা এলাকায় দুটি আইডি কার্ডের তথ্য পায়। পরে বাড্ডা থানার আইডি কার্ড বাতিল এবং দুটি আইডি কার্ডই ব্লক করে দেয়া হয়।
ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ অনুযায়ী দুটি এনআইডি রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। এর সর্বনিম্ন শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা উভয়।
করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
খবর২৪ঘন্টা/নই