সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে উঠেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের প্রথমদিকে পিছিয়ে পড়েও নার্ভ শক্ত রেখে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় নাজমুল হুদা ফয়সালের দল। শিরোপার মঞ্চে লাল-সবুজদের প্রতিপক্ষ ভারত।
ভুটানের চাংলিমিথাম স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় পাকিস্তানের। খেলার ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। সমতায় আসতে খুব বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশ। ১৪তম মিনিটে সমতায় এসে ২৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটি পেয়ে যায়। ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় শুরু হবে ফাইনাল।
শুরুতে লিড নেয় পাকিস্তান। স্ট্রাইকার আব্দুল ঘানি বাংলাদেশ ডিফেন্ডারদের ফাঁক গলে ডি বক্সের সামনে বল পান। গোলকিপারকে একা পেয়ে সরাসরি শটে গোল করে দলকে ১-০তে এগিয়ে নেন।
গোল হজম করে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। গোল পেতে খুব বেশি দেরি হয়নি নাজমুলদের। ১৪তম মিনিটে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ডান উইং থেকে ডি বক্সের মধ্যে দুর্দান্ত ক্রস পেলে হেডে গোল করেন মোর্শেদ আলী। ১-১ সমতায় আসে বাংলাদেশ।
২৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে হ্যান্ডবল পায় পাকিস্তান। ফ্রি কিকে বিপদ হতে পারত বাংলাদেশের জন্য, গোলকিপারের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় বাংলাদেশ, কর্নার পায় পাকিস্তান। বল সাইডলাইনের বাইরে পাঠিয়ে দেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার।
২৯ মিনিটে দারুণ এক গোল পায় বাংলাদেশ। গোলটি করেন স্ট্রাইকার আবু সাঈদ। মাঝমাঠ থেকে বল কাটিয়ে ডান দিকে যান অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল। সেখান থেকে বাঁ-দিকে দারুণ এক ক্রস পেলে পাকিস্তান গোলকিপারকে পরাস্ত করতে ভুল করেননি সাঈদ। ২-১ এগিয়ে যায় লাল-সবুজের দল।
৩৫ মিনিটে খেলায় প্রথম পরিবর্তন করে পাকিস্তান। ৩৮ মিনিটে আরও একটি সুযোগ পায় লাল-সবুজরা, কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। প্রথমার্ধে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লাল-সবুজের দল।
বিরতির পর আবারও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ৪৮ মিনিটের মাথায় আরেকটি গোলের দেখা পেতে পারতো বাংলাদেশ। সুযোগ পেলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি। আক্রমণে পাকিস্তান আসলে কখনও ডিফেন্ডার, কখনও গোলকিপারের দৃঢ়তায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ। ৭০ মিনিট পর্যন্ত দুদলের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকলেও কোনো দলই আর গোলের দেখা পায়নি।
৭২ মিনিটে বাঁ-দিক থেকে ভালো একটি আক্রমণ সাজায় বাংলাদেশ। সুন্দর একটি ক্রস মিললেও পাকিস্তান গোলকিপারের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত হতে হয়।
৮৮ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর ভালো জায়গায় বল পায় পাকিস্তান। কাজে লাগাতে পারেনি। ৯২ মিনিটে গোলের দেখা প্রায় পেয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তবে ডিফেন্সের সফলতায় বিপদ কেটে যায় বাংলাদেশের। যোগ করা সময়ে দারুণ দুটি সুযোগ পায় বাংলাদেশ। আরও এগিয়ে যেতে পারতো লাল-সবুজ বাহিনী। এসময় পাকিস্তান বারবার বাংলাদেশ ডিফেন্সে কাঁপুনি ধরালেও গোলের দেখা পায়নি।