অবশেষে জয়ে ফিরল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজটা আগেই হেরে যায় প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে। শঙ্কা জেগেছিল দীর্ঘ ২১ বছর পর জিম্বাবুয়ের কাছে হোয়াইটওয়াশের। তবে সেটি আর হতে হয়নি। নিজেদের ৪০০তম ওয়ানডে খেলতে নেমে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে টাইগাররা জয় পেয়েছে ১০৫ রানে।
বাংলাদেশের দেয়া লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে জিম্বাবুয়ে। মাত্র ৩১ রানেই হারায় ৫ উইকেট। প্রথম ওভারে হাসান মাহমুদ ফেরান তাকুদজয়ানসে কাইতানোকে শূন্য রানে। পরের ওভারেই মেহেদী মিরাজ ফেরান আরেক ওপেনার তাদিওয়ানসে মারুমানিকে ১ রানে।
এদিন অভিষিক্ত এবাদত হোসেনের পেস ভেলকির কাছেই খেই হারায় স্বাগতিকরা। নিজের প্রথম ওভার করতে এসে দুই বলে তুলে নেন দুই উইকেট। ওভারের তৃতীয় বলে ১ রান করা ওয়েসলে মাধভেরেকে ফেরানোর পর বোল্ড করেন আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া সিকান্দার রাজাকে।
ম্যাচের মোড় এখানেই ঘুরে যায়। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বড় জুটি বাঁধেন ভিক্টোর নায়ুচি ও রিচার্ড নাগারভা। দশম জুটিতে দুজনে ৫৮ বলে তোলেন রেকর্ড ৬৮ রান। নায়ুচি ২৬ রান করে আউট হলেও নাগারভা অপরাজিত থাকেন ৩৪ ৯২৭) রানে। ৩২.২ ওভারে জিম্বাবুয়ে থামে ১৫১ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, ২টি করে নেন এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। ১ উইকেট করে নেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান।
এর আগে হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ভুল বোঝাবুঝিতে রান-আউট হয়ে ১৯ রান করে ফেরেন তামিম ইকবাল। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম ফেরেন শূন্য রানে।
এরপর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৭৭ রানের জুটি বেঁধে টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন আনামুল হক বিজয়। ৭১ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে বিজয়ের বিদায়ের পর টেস্ট খেলায় মেতে ওঠেন মাহমুদউল্লাহ। ৬৯ বল খেলে করেন মাত্র ৩৯ রান।
এরপর অবশ্য ম্যাচ একাই টানেন আফিফ হোসেন। ৮১ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি। বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন লুক জঙ্গওয়ে ও ব্র্যাড ইভান্স। ১ উইকেট করে নেন রিচার্ড নাগারভা ও সিকান্দার রাজা।
বিএ/