সাতবছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে একজনকে এনকাউন্টার করেছে পুলিশ। ভারতের অসম-র উদালগুড়ি জেলার পুলিশ বুধবার ভোররাতে এনকাউন্টারে ধর্ষণকের অভিযুক্ত রাজেশ মুন্ডা মারা যায়। অন্য দিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষণের দ্বিতীয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরাসরি মৃত্যু ব্যবস্থা নিয়েছে নেয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে অসম পুলিশ একটি এনকাউন্টারে ১৬ বছর বয়সী মেয়ের গণধর্ষণে অভিযুক্ত বিকি আলীকে এনকাউন্টারে করে পুলিশ। নতুন সরকার গঠনের পর থেকে আসাম পুলিশকে আক্রমণাত্মক রূপে দেখা যাচ্ছে। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকারের অধীনে রাজ্যে এনকাউন্টারের সংখ্যা বেড়েছে।
অসম পুলিশ ধর্ষণের অভিযুক্তের এনকাউন্টার নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে। পুলিশ জানায়, গত ১০ মার্চ ৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তদন্তের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বাইহাটা চারিয়ালীর একটি কারখানা থেকে অভিযুক্ত রাজেশ মুন্ডাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় সে হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টায় পুলিশ কয়েকটি গুলি ছোঁড়ে যাতে অভিযুক্ত আহত হয়। এরপর অভিযুক্তকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে অসম পুলিশের মধ্যে এনকাউন্টার করার প্রবণতা বেড়েছে। গত বছরের মে মাসে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির নতুন সরকার অসমের দায়িত্ব নেয়। এরপর থেকে আসামে এনকাউন্টারের সংখ্যা বেড়েছে। শর্মা স্বরাষ্ট্র বিভাগের দায়িত্ব নিয়েই পুলিশকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান এবং এমনকি যদি তারা হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে বা পুলিশ সদস্যদের আক্রমণ করে তবে তাদের পায়ে গুলি করার নির্দেশিকাও দেন।
বিএ