নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ও তার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার বিষয় নিয়ে গত কয়েক দিনে সরকারের পক্ষ থেকে যা করা হয়েছে, তাতে আমি বিস্মিত এবং উদ্বিগ্ন।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে আইনি বাধার কথা আইন মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, তার ব্যত্যয় ঘটিয়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে চিকিৎসার নজির এ দেশে রয়েছে।
‘সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পরও জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রবকে ১৯৭৯ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে মানবিক বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছিল সবার আগে। বেগম জিয়ার ক্ষেত্রেও তেমনটি আমি আশা করেছিলাম।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিএনপির নেতাদের কাছ থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি, বেগম জিয়ার ফুসফুস এবং পেটে পানি এসেছে; যা ৭৬ বছর বয়সী একজন মানুষের জন্য খুবই মারাত্মক। এই মুহূর্তে উনার সার্বক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে নাজুক অবস্থা তাতে দেশে থেকে উনার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
‘এই পরিস্থিতিতে মানবিক দিক বিবেচনায় সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী এবং একজন বীর উত্তমের স্ত্রী হিসেবে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও সরকার তাদের প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বের হতে পারল না।’
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসেও সরকার মানবিক মূল্যবোধের ন্যূনতম পরিচয় দিতে ব্যর্থ হল। যে প্রতিহিংসার সংস্কৃতি বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার চালু করেছে তা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা ভেবে আমি শঙ্কিত।
সরকার তার অবস্থান থেকে সরে এসে মানবিক দিক বিবেচনায় বেগম জিয়ার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে এবং পাশাপাশি তার চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেবে আশা প্রকাশ করেন মাহমুদুর রহমান মান্না।
অন্যথায় সঠিক চিকিৎসার অভাবে বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে, তার দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
জেএন