1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে ২ অপরিচিত পুরুষের সম্পৃক্ততা - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে ২ অপরিচিত পুরুষের সম্পৃক্ততা

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩ মারচ, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের আলোচিত ঘটনায় দু’জন অপরিচিত পুরুষের সম্পৃক্ততা পেয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের খন্দকার শফিকুল আলম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের প্রধান সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, এই মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন হলফনামা আকারে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। আগে বেশ কয়েকবার মৌখিকভাবে অগ্রগতি জানানো হয়েছিল। আজ সেটা লিখিত হলফনামা আকারে দেয়া হয়েছে।

পূর্ব নির্দেশনা অনুসারে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন সোমবার (২ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে জমা দিয়েছে র‌্যাব। যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিষয়টি জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এ ছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা এই প্রতিবেদন নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে আসা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দু’জন অপরিচিত পুরুষ জড়িত ছিল। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টি-শার্টে ওই দুই পুরুষের ডিএনএ’র প্রমাণ মিলেছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করেছে র্যাব।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই মামলায় তানভীরের অবস্থা রহস্যজনক। এই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি (বিচারিক আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে) দেওয়া যুক্তিযুক্ত হয়নি। আমেরিকা পাঠানো ডিএনএ নমুনার সঙ্গে অপরিচিত দুই ব্যক্তির ডিএনএ’র মিল পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী মেহেরুন রুনী হত্যা মামলায় তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ৪ মার্চের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

প্রতিবেদনের বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দু’জন অপরিচিত পুরুষ জড়িত ছিল। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টি-শার্টে ওই দুই পুরুষের ডিএনএ’র প্রমাণ মিলেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করে র‌্যাব।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ মামলায় তানভীরের অবস্থা রহস্যজনক। এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি (বিচারিক আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে) দেওয়া যুক্তিযুক্ত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো ডিএনএ নমুনার সঙ্গে অপরিচিত দুই ব্যক্তির ডিএনএ’র মিল পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর এ মামলার সন্দেহভাজন আসামি তানভীরের জামিনের বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালত তার রায়ে বলেন, সামগ্রিক ঘটনা ও আইনগত অবস্থা বিবেচনায় সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে সন্দেহভাজন আসামি মো. তানভীর রহমানকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

একইসঙ্গে সামগ্রিক অবস্থা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আগামী ৪ মার্চ বা তার পূর্বে এ মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা এবং অপরাধের সাথে বর্তমান আসামি তানভীরের সম্পৃক্ততার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন হলফনামাসহ দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব এ মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিল করে।

সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গ্রেফতারের ২৬ মাস পর জামিনে কারাগার থেকে বরে হন তানভীর রহমান। তানভীরের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে। তিনি ঢাকায় উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে থাকেন। তানভীর রহমান ২০১২ সালের ১ অক্টোবর তার কর্মস্থল স্কলাসটিকা স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় উত্তরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পরিবার। এরপর ৯ অক্টোবর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তানভীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পান। এরই ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি মুক্তি পান।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

সব মিলিয়ে এ মামলায় মোট আটজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মো. সাইদ, মিন্টু, কামরুল হাসান ওরফে অরুণ, সাগর-রুনির ভাড়া বাসার নিরাপত্তা প্রহরী এনামুল, পলাশ রুদ্র পাল এবং নিহত দম্পতির বন্ধু তানভীর রহমান। তাদের মধ্যে প্রথম পাঁচজনই মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র হত্যার ঘটনায় র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেফতার হন। প্রথম পাঁচজন ও নিরাপত্তারক্ষী এনামুল এখনো এই মামলায় কারাগারে আছেন।

প্রসঙ্গত, সাগর-রুনির মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সিডিসহ হাইকোর্ট তলব করেছিলন ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর। তলবের পর তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থিত হওয়ার পর একই বছর ১১ নভেম্বর তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা এবং একইসঙ্গে মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক মো. তানভীর রহমানের সম্পৃকতার বিষয়েও প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

আদালতে ওইদিন তানভীরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

মো. সারওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে এসেছে। আদালত বলেছেন, তদন্ত শেষ হবে কবে। তদন্ত কি অনন্তকাল ধরে চলবে।

এর আগে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি দাখিল করা এক প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগার থেকে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টগুলো পাওয়া গেছে। সে রিপোর্ট ও অপরাধচিত্রের প্রতিবেদন (ক্রাইম সিন রিপোর্ট) পর্যালোচনায় দু’জন পুরুষের ডিএনএর পূর্ণাঙ্গ প্রফাইল পাওয়া গেছে। গ্রেফতার আট আসামি, নিহত দু’জন এবং স্বজন মিলে ২১ জনের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছিল। এসব পরীক্ষায় সন্দেহভাজন খুনি শনাক্ত হয়নি। এই মামলায় গ্রেফতারকৃত আটজনের মধ্যে পাঁচজন—রফিকুল, বকুল, সাইদ, মিন্টু ও কামরুল হাসান ওরফে অরুণ মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণচন্দ্র রায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। গ্রেফতার দেখানো হয় পারিবারিক বন্ধু তানভীর এবং বাসার নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পাল ও হুমায়ূন কবীর। এদের মধ্যে তানভীর, মিন্টু ও পলাশ হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। বাকিরা এখনো কারাগারে আছেন।

খবর২৪ঘন্টা/নই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST