পাবনা প্রতিনিধি:পাবনার সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তার নদী হত্যা মামলার প্রধান আসামী নদীর সাবেক শ্বশুর ইড্রাল ওষুধ কোম্পানী ও শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আবুল হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। মামলার অপর দুই আসামী হলেন নদীর সাবেক শ্বাশুড়ী তাসলিমা হোসেন ও সাবেক স্বামী রাজিব হোসেন।
জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ১১ কোটি ৫১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ ও আয়ের বিবরণী দাখিল না করায় তাদের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুপুরে দুদক পাবনা অফিসের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বাদি হয়ে পাবনা সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পাবনা অফিস ইড্রাল ওষুধ কোম্পানী ও শিমলা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক নদী হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নদী হত্যা হবার অনেক আগেই তদন্তে নামে দুদক। তদন্তে দুদক আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ১৯৭৭ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত নিজ নামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলে ৪০ কোটি ৬৬ লাখ ১’শ টাকার সম্পদের হদিস পায়।
এর মধ্যে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৮ কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৮২৯ টাকা। অন্যদিকে আবুল হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা হোসেনের নামে অর্জিত ২ কোটি ৪৯ লাখ ১২ হাজার ২১৫ টাকার সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ১ কোটি ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৮ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায়।
এরপর দুদক অনুসন্ধানে জানতে পারে আবুল হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেনের নামে অর্জিত ২ কোটি ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের পরিমাণ হচ্ছে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩০০ টাকা।
এ বিষয়ে দুদক আইনে তাদেরকে সাতদিনের মধ্যে আয়-ব্যয়ের উৎস বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়। এরপর তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও সাতদিন সময় বাড়ানো হয়। চলতি মাসের ৪ তারিখে দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়-ব্যয়ের বিবরণী দাখিলের সময় থাকলেও তারা তা দাখিল না করায় দুদক পাবনা অফিসের উপ-পরিচালক বাদি হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।
পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন