খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: জামালপুরে দৈনিক বাংলাবাজার ও পল্লীকন্ঠ প্রতিদিনের সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর বর্বরোচিত হামলা করে দেশীয় অস্ত্রসহ লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সন্ত্রাসী রকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা।
বুধবার রাত ১১টায় শহরের দেওয়ানপাড়া এলাকায় পুরাতন এসডিওর বাড়ির পিছনে শহর বাইপাস রোডে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত শেলু আকন্দকে স্বজন ও সাংবাদিকরা উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত শেলু আকন্দ বলেন, আমি ডায়াবেটিসের রোগী। প্রতিদিন সকাল ও রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে শহর বাইপাস রোডে হাটাহাটি করি। বুধবার রাতে হেঁটে যাওয়ার সময় পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাকিব খান, তুষার খান, স্বজন খান ও তুহিন খানসহ ১০/১২ জন আমার উপর হামলা চালায়। তারা লোহার জিআই পাইপ দিয়ে আমার দুই পায়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে। পেটানোর সময় তারা বলে মামলার সাক্ষী হইছস না, সাক্ষী দিবি, তর সাক্ষীর হওয়ার স্বাদ মিটাইতাছি। লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে পেটাতে আমার দুই পা গুড়িয়ে দিয়েছে।
এর ৬ মাস আগে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে দৈনিক কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর উপর হামলা করে বেধড়ক মারধর করেছিল কাউন্সিলর রুনু খান ও তার ছেলে রাকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় জামালপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলার ২নং সাক্ষী ছিল সাংবাদিক শেলু আকন্দ। সাংবাদিকের উপর হামলার মামলায় সাক্ষী হওয়ায় সাংবাদিক শেলু আকন্দ হামলার শিকার হয়েছেন।
জামালপুর সদর থানার ওসি মো: সালেমুজ্জামান জানিয়েছে, সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারন সম্পাদক লুৎফর রহমান সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর হামলার নির্দেশদাতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও হামলাকারী রকিব খানসহ হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি।
এমকে