নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি মেয়র প্রার্থী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫ ও ৬ নং এবং বিকেল থেকে রাত অবধি ৩নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু, পুঠিয়া দূর্গাপুরের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তাফা, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন,
রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি জাহিদুল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক মামুন, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি গোলাম নবী গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমমান মিন্টু, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি সহ অত্র ওয়ার্ডের শুধিজন, সমাজসেবক, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং শত শত সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বুলবুল বলেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাঁর পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলছে এবং নির্বাচনী অফিস ভাঙ্গচুর করছে। সেইসাথে নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও তাদের অযাচিত ভাবে গ্রেফতার করছে। এছাড়াও নির্বাচনী প্রচারণার সময় নেতাকর্মীদের বাধা প্রদান ও নারী কর্মীদের অসম্মানজনক কথা বলেছে এবং অপমান করছে বলে জানান তিনি। এনিয়ে বার বার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী নির্বাচনী হলফ নামায় যে তথ্য প্রদান করেছে তা অতিক্রম করছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কালো টাকা ছড়াচ্ছেন। তিনি বিএনপি সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছেন। সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনগণের উপর ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। উন্নয়ন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলেছেন। তার সময়ে রাজশাহীর কোন উন্নয়ন হয়নি। লিটন চাকরী দেওয়ার নাম করে নগরীর যুব সমাজের সাথে প্রতারণা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, পূণরায় বিজয়ী হলে বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা স্থাপন কার হবে। এছাড়াও কারিগরী প্রশিক্ষণ প্রদান করে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা সহ আরো নানা ধরণের কার্যক্রম গ্রহন করবেন। সেইসাথে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন। এছাড়াও ২০৫০ সাল নাগাদ রাজশাহীকে বিশ্বের অন্যতম সিটিতে পরিণত করা হবে। সেইসাথে ট্যাক্সে বোঝা কমিয়ে আনা হবে।সুষ্ঠু ভোট হওয়ার স্বার্থে নেতাকর্মীরা প্রতিটি কেন্দ্র কঠোরভাবে পাহারা দেবেন। সেইসাথে ভোটের ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র হতে বের হবেন পোলিং এজেন্টরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ধানের শীষের বিজয়ের মধ্যে দিয়ে আগামীতে রাজশাহী থেকে বেগম জিয়ার মুক্তি ও হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে উল্লেখ করেন নেতাকর্মীরা।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে