দেশের রাস্তা ঘাট, বহুতল ভবন, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, যুমনাসেতুর রেল সংযোগ, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমদ্র বন্দর, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও শহর গ্রামে সরকারের বিপুল উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার(২৪ মার্চ) রাজশাহীর দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকাল বিএনপি অনেক কথা বলেন। আসলে বিএনপির মাথাটাই খারাপ হয়ে গেছে।
কারণ দীর্ঘ দিন তাঁরা রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে। নয়াপল্টনের অফিসে বসে প্রতিদিন ঘন্টায় বাজায়। রিজভী সাহেব ঘন্টায় বাজায়,আর বলে আওয়ামী লীগের বিদায়ী ঘন্টা বেজে গেছে। কিন্তু তাতে কেউ সাড়া দেয় না, এমন কী তাদের কর্মীরাও সাড়া দেয় না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলে পদ্মাসেতু হবে না। আওয়ামী লীগ পদ্মাসেতু করতে পারবে না। অথচ পদ্মাসেতু হয়ে গেছে। গত পহেলা জানুয়ারি মানণীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতুর এপার থেকে ওপার গেছেন। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা।
তিনি বলেন, এখন আমি অপেক্ষা করছি, কখন এই পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী সাহেব কখন যায়। অপেক্ষা করছি, কখন তাঁরা পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে যায়, নাকি পদ্মাসেতুর নিচ দিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকার চড়ে পার হয়। এটা এখন দেখার পালা।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আওয়ামী লীগের তরুণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, সরকার যে উন্নয়ন করছে, তাতে কোন ভোট অন্য বাক্সে এ যাবার কথা নয়। যদি যায়, তাহলে বুঝাতে হবে আমাদের নেতাকর্মীর উদ্ধতপূর্ণ আচারণের কারণে গেছে। মানুষ উদ্ধতপূর্ণ আচারণ পছন্দ করে না। ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়।
যারা দলের নাম ভাঙিয়ে জায়গা দখল, মাদক সিন্ডিকেট করছে তাদের দল থেকে ছিন্ন করতে হবে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের এতো অর্জণ কয়েকজন উদ্ধতপূর্ণ আচারণের নেতাকর্মী ও আর কয়েকজনের অপর্কমের জন্য সেগুলো ঢাকা পড়তে পারে না। আর সবাইকে নৌকায় নেওয়ার দরকার নাই। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদন রাষ্ট্র ক্ষমতায়। এখন সবাই স্বার্থের জন্য নৌকায় উঠতে চায়।
দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রী কমিটির সদস্য আব্দুল আওয়াল শামীম ও নূরুল ইসলাম ঠান্ডু। সম্মেলন উদ্বোধন করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার। প্রধান বক্তা ছিলেন ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা।
আরও বক্তব্যে দেন দুর্গাপুর পুঠিয়া আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনুসর রহমান, পবা মোহনপুরের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতা, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্ট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।
সম্মেলনের শুরুতেই জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলণ করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবুন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা সহ মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রামে সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অধিবেষন শেষে দুর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়।
বিএ/