খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক : সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে চার ধরনের অপরাধের জন্য সরকারি কর্মচারীদের কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এগুলো হলো- অননুগত্য বা শৃঙ্খলা ভঙ্গ, কর্মস্থলে অনুপস্থিতি বা দায়িত্বে গাফিলতি, অন্যদের উসকানি দেওয়া বা কর্তব্য থেকে বিরত রাখার চেষ্টা এবং অন্যদের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া।
এই চার অপরাধের জন্য নিম্নপদে অবনমিতকরণ, চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্তের শাস্তি দেওয়া যাবে বলে অধ্যাদেশে জানানো হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো রোববার সচিবালয়ে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়নের উদ্যোগ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন কর্মচারীরা। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হন। পরে কয়েক শ কর্মকর্তা-কর্মচারী সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ করেন।
গত মে ২২ উপদেষ্টা পরিষদের ২৯তম বৈঠকে এ অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এই অধ্যাদেশকে ‘কালো আইন’ উল্লেখ করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মাঠ না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
বিএ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।