1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বছরে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১১ জানয়ারী ২০২৫, ০১:৪৯ অপরাহ্ন

বছরে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৯
ছবি: প্রতিকি

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। বাড়ছে বৈদেশিক ঋণের অবমুক্তি। ফলে সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য সঞ্চয়পত্রসহ ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, গত ২ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার এক বছরে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের ২ এপ্রিলে ব্যাংকব্যবস্থায় সরকারের ঋণের স্থিতি ছিল ৬৭ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা। চলতি ২ এপ্রিলে তা বেড়ে হয়েছে ৮৪ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে জনজীবনের ওপর চাপ আরো বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মূলত সরকারের আয়ের প্রধান খাত হলো রাজস্ব আহরণ ও বৈদেশিক অনুদান। এ দু’টি খাতেই বিশেষ করে রাজস্ব আহরণে ভাটা পড়ে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। কিন্তু চলতি অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা ও পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষের আয়ের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। বেশির ভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যয় কমানো হচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ের ওপর। অপর দিকে সরকারের বাজেট ঘাটতি অর্থায়নের বৈদিশক ঋণ নেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কাক্সিক্ষত হারে বৈদেশিক অনুদান ও ঋণ আসছে না। যেমনÑ গত অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বৈদেশিক ঋণের অবমুক্তির প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৫৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। কিন্তু চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা কমে নেমেছে মাত্র ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশে।
রাজস্ব আদায় ও বৈদেশিক অনুদান কমে যাওয়ায় ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণগ্রহণ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ১ জুলাই থেকে গত ২ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার তফসিলি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে চার হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। 

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, সঞ্চয়পত্রের চেয়ে ব্যাংকের আমানতের সুদহার কম হওয়ায় ব্যাংকে আমানত প্রবাহ কমে গেছে। এ দিকে, বড় বড় ঋণগ্রহীতারা কাক্সিক্ষত হারে ঋণ পরিশোধ করছেন না। এতে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পাহাড় জমে গেছে। এর ওপর বড় বড় ঋণখেলাপিকে ছাড় দেয়ার ঘোষণা দেয়ায় যারা এত দিন ঋণ পরিশোধ করতেন তারা আর আগের মতো ঋণ পরিশোধ করছেন না। ফলে নগদ আদায় ব্যাপক হারে কমে গেছে। ঋণ আদায় কমে যাওয়ায় বেশির ভাগ ব্যাংকের নগদ টাকার সঙ্কট বেড়ে গেছে। এ সঙ্কট মেটাতে অনেকেই ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি বেশি হারে আমানত সংগ্রহ করতে আমানতের সুদহার বাড়িয়ে দিচ্ছে। একই সাথে নগদ টাকার সঙ্কট মেটাতে রেপো ও বিশেষ তারল্য সহায়তায় মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার নিচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে ঋণ প্রবাহে। ব্যাংকগুলো এখন ইচ্ছে করলেই নগদ টাকার সঙ্কটের কারণে ঋণ বিতরণ করতে পারছে না। এমনি পরিস্থিতিতে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে বেশি হারে ঋণ নিলে ব্যাংকগুলোর সঙ্কট আরো বেড়ে যাবে বলে তারা মনে করছেন। 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণগ্রহণ বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়ে যাবে। এতে জনভোগান্তি বেড়ে যাবে। পাশাপাশি নানামুখী চাপে পড়বে অর্থনীতি। অপর দিকে ঋণ আদায় কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। ফলে ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণগ্রহণ বেড়ে গেলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ আরো কমে যাবে, যা কর্মসংস্থানের বাধা সৃষ্টিসহ জাতীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। সুত্র: নয়াদিগন্ত

আ/এস

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST