নিজস্ব প্রতিবেদক :
সমকামিতা ও ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। নুরুল পুঠিয়া উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের মৃত কালুর ছেলে। গত ১১ জুন এ ঘটনা ঘটে। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১১ জুন রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন কাঠালবাড়ীয়া গ্রামের এ.এস.এস ইটভাটায় শ্রমিক নুরুলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে পুঠিয়া থানায় মৃত নুরুলের মেয়ে বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা দায়ের করেন। যার
মামলা নং-৮। পুলিশ সুপার রাজশাহীর নির্দেশে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা শাখা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য নিবিড় পর্যালোচনা করে গোপন সূত্রে গত গত ১৬ জুন জীবন (১৬) নামের এক ব্যক্তিকে ডিবি পুলিশ আটক করে। পরে আদালতে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে সে জানায়, মৃত নুরুল ইসলামকে তার প্রতিবেশী হিসেবে নানা বলে সম্বোধন করত। মৃত নুরুল ইসলাম তাকে টাকার প্রলোভন দিয়ে প্রায় সময় সমকামিতার কাজ করাত এবং এতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করত। গত ১০ জুন রাত ৯টায় সমকামিতার জন্য দুজনেই পুঠিয়া
থানাধীন কাঠালবাড়ীয়া গ্রামের এ.এস.এস ইটভাটার জায়গায় যায়। সমকামিতার এক পর্যায়ে নুুরুল হক মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় পূর্বের থাকা ক্ষোভ ও উক্ত কাজ তার ভাল না লাগার ফলে জেদের বশবর্তী হয়ে প্রথমে গলা টিপে ধরে। তারপর ইট দিয়ে মাথায় উপর্যূপুরি আঘাত করে এবং মৃত নুরুল রক্তাক্ত ফেলে রেখে বাসায় চলে যায়। সে জানায় মৃত নুরুল ইসলামের পূর্ব থেকেই সমকামিতার বদ অভ্যাস ছিল এবং এলাকার বিভিন্নজনকে এ কাজে সে ব্যবহার করত।
এস/আর