সুনামগঞ্জে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে কণ্ঠশিল্পী পাগল হাসানসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে জেলার ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের সুরমা সেতু টোলপ্লাজার পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা গ্রামের আবদুল কাদিরের ছেলে লায়েছ মিয়া (৩০), ননদু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৪) ও সিরাজ আলীর ছেলে সিএনজিচালক রুপন মিয়া (৩০)। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংগীতশিল্পী পাগল হাসানকে বহনকারী সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে গেছে। এতে ঘটনাস্থলেই পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। শিল্পী পাগল হাসান ও ছাত্তার মিয়ার বাড়ি ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও-শিমুলতলা গ্রামে। পাগল হাসানের দুই ছেলেসন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে সংগীতশিল্পী পাগল হাসানসহ একই গ্রামের পাঁচজন সিএনজিচালিত অটোরিকশায় দোয়ারাবাজার থেকে ছাতকে ফিরছিলেন। এ সময় অপরদিক থেকে একটি বাস দোয়ারাবাজারে যাচ্ছিল। পথে সুরমা সেতুর টোলপ্লাজার কাছে মুখোমুখি সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার ও ঘাতক বাসটিকে জব্দ করে। তবে ঘটনার পরপরই বাসের চালক ও সহযোগী পালিয়ে গেছে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, সংগীতশিল্পী পাগল হাসানসহ দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক পালিয়ে গেছে। আহতদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
বিএ….