সন্ধ্যায় চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে সংসদে কথা বলার সীমিত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংসদ ও রাজপথের সংগ্রামকে যুগপৎভাবে চালিয়ে যাওয়াকে তারা যৌক্তিক মনে করেছেন।
“রাজনীতির সংকটময় এই জটিল প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা, মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামের অংশ হিসেবে আমাদের দল সংসদে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে”।
তবে তিনি নিজে কখন শপথ নেবেন – এই প্রশ্নের জবাবে মিস্টার আলমগীর বলেন, “অপেক্ষা করুন, জানতে পারবেন”।
আবার এতোদিন শপথ না নেয়ার কথা বলে আজ কেনো নতুন সিদ্ধান্ত হলো তারও কোনো ব্যাখ্যা দেননি।
তবে বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, “গতরাতে স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তারেক রহমানকে দিয়েছিলো। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তারই প্রেক্ষাপটে আজ চারজন শপথ নিয়েছেন”।
সংসদে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হলে কেন আগে শপথ নেয়া জাহিদুর রহমানকে বহিষ্কার করা হলো তারও কোনো জবাব দেননি তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, সরকার তার গ্রহণযোগ্যতার জন্য ভোটারবিহীন এই সংসদকে সচল দেখাতে চায়।
“এটুকুই আজ গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার ন্যূনতম সুযোগ হিসেবে বিরোধী জনমতের জন্য অবশিষ্ট আছে” – বলেন মি. আলমগীর। source: bbc bangla