নিজস্ব প্রতিবেদক: মহানগর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ জহুরুল আলম রিপনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবারর দুপুরে নগরীর একটি কমিউিনিটি সেন্টারের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৬ সালে আমি পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছিলাম। এ কারণে স্থানীয় আ’লীগের একটি পক্ষের সাথে আমার মতানৈক্য হয়। ওই ঘটনার জের ধরেই গত ২৬ জানুয়ারী আমার প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
সবশেষ গত সোমবার আমাকে জড়িয়ে কলেজেই এক ছাত্রীকে ধর্ষণের নাটক সাজানো হয়। ভাড়াটে লোক এনে এই ইস্যুতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়েছে। অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকৃত ঘটনা যাচাই বাছাই না করে সংবাদ প্রকাশে আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হয়েছে। ছাত্রীর পরিবারও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপান্ন হয়েছে। এ ঘটনার পর লোকলজ্জায় আত্মগোপন করেছে মেয়েটির পরিবারের লোকজন। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ওই ছাত্রীর পরিবারকে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। মেয়ের চাকুরী ও মোটা অঙ্কের অর্থের প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে ওই মেয়ের বাবাকে তুলে নিয়ে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্ত তাতে রাজি হয়নি মেয়ের বাবা। প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই ভাল ফলাফল করে। এজন্য সবাই হিংসা করে। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েই এমন ঘটনা ঘটছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, কলেজের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান রাজু, সহকারী অধ্যাপক মকছেদ আলী, প্রভাষক হকসাদ আলী, কম্পিউটার প্রদর্শক আলী হোসেন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, একই কলেজের শিক্ষার্থীকে অধ্যক্ষ কর্তৃক ধর্ষণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী শিক্ষার্থীরা। তার প্রেক্ষিতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে