খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। রাজনীতির মঞ্চ থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার আড্ডাস্থল, হাটবাজারের চা-দোকানেও চলছে জোর আলোচনা। কেমন হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ চাইছে ‘সংবিধান’ অনুযায়ী সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করতে।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বরাবরই দাবি জানিয়ে আসছে, বিলুপ্ত হওয়া তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করতে। তারা আওয়ামী লীগ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে তার পদে বহাল রেখে নির্বাচনে যেতে আগ্রহী নয়।
আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে। প্রধান এই দুটি দল নিজেদের অবস্থানে অনড়। কেউ কাউকে এোকচুল ছাড় দিতে রাজি নয়।
সরকার তার অবস্থান পরিবর্তন না করলে বিএনপি কি করবে? ২০১৪ সালের মতোই কি নির্বাচন বয়কট ও বানচালের যুদ্ধংদেহী চেষ্টায় নামবে?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত দলটি তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংঘবদ্ধ করতেই বেশি জোর দিচ্ছে। একইসঙ্গে দেশের জনগণকে আগামী দিনের আন্দোলনে সম্পৃক্তকরণে কাজ করছে দলটি। কারণ, জনগণই সকল শক্তির উৎস। মানে তারা জনগণকে সংগঠিত করে সরকারকে দাবি মানায় বাধ্য করার দিকেই যাবে তারা। এজন্য তারা ব্যাপক আন্দোলনে নামার চিন্তাভাবনা করছে। তবে এখনো প্রকাশ্যে ঝেড়ে কাশতে বা স্পষ্ট করে কিছু বলতে নারাজ তারা।
বিএনপি নেতারা বলছেন, আগামী দিনে বিএনপির কর্মসূচি কি হবে তা সময়মতো জানানো হবে। বিএনপি এখনো সংলাপের পথেই হাঁটছে। সরকার যদি তার অনড় অবস্থান থেকে সরে না আসে, তাহলে জনগণের মনোভাব বুঝে আগামী দিনের কর্মসূচি নির্ধরণ করবে বিএনপি। ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’—এ নীতিতে প্রয়োজনে আন্দোলনেরও ডাক দেবে। তবে সে আন্দোলন কেমন হবে তা নিয়ে বিএনপির নেতৃত্ব পর্যায়ে বিচ্ছিন্নভাবে আলোচনা হলেও স্পষ্ট কোনো পদক্ষেপের ছক এখনো আঁটা হয়নি। দলটির নেতাদের সূত্রে এমন ধারণাই পাওয়া গেছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ