1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে চালক,সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন। - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:০০ পূর্বাহ্ন

শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে চালক,সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন।

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৮

খবর২৪ঘন্টা ডেস্কঃ

পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে চালক, সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে তারা মুখে কালো মবিল মেখে ও হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করে অভিনব প্রতিবাদ জানান।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন পালিত হয়। এ সময় পরিবহন ধর্মঘটে নারী নির্যাতন, শিশুহত্যা (ধর্মঘটে আটকা পরে অ্যাম্বুলেন্সে এক শিশুর মৃত্যু হয়) এবং শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির প্রতিবাদ জানানো হয়।

মানববন্ধন থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে হবে, আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি না করা এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য রোগী বহনকারী গাড়ি চলাচল করতে দিতে হবে।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। সেখানে ‘ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তি কেন?’, ‘আলকাতরা সন্ত্রাস নিপাত যাক’, ‘দেশের বুকে চুনকালি শ্রমিক নেতার নেই বুলি’, ‘স্কুল ড্রেসে কালি কেন?, ‘কালি নাকি কলঙ্ক?’ ইত্যাদি লেখাসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।

আবদুল করিম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, সংবিধান যেকোনো রাষ্ট্রের নাগরিকদের আন্দোলন করার অধিকার দিয়েছে। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। তবে তারা (পরিবহন শ্রমিকরা) আন্দোলনের নামে কোনো নাগরিকের চলাফেরা করার অধিকার এবং তাদের পথ অবরোধ করার অধিকার সংবিধান দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, যখন যৌক্তিক আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছিল তখন তাদেরকে দমন করতে হেলমেট বাহিনী মরিয়া হয়ে উঠেছিল। আজকে যখন সাধারণ মানুষ এবং শিক্ষার্থীরা শ্রমিকদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তখন পুলিশ বাহিনী বা হেলমেট বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে।

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, গতকালকে (রোববার) যে শিশুটি মারা গেছে, এটাকে আমরা মৃত্যু বলতে পারি না। এটা একটি স্পষ্ট হত্যাকাণ্ড। আমরা শ্রমিকদের আন্দোলনের বিপক্ষে না। কিন্তু এ ধরনের অরাজকতা কোনো শ্রমিক করতে পারে না। এ ধরনের অপকর্মগুলো সরকারের একটি মাফিয়া চক্র দ্বারা করা হচ্ছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এসব অরাজকতা মেনে নিতে পারি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

উল্লেখ্য, সংসদে পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে গতকাল রোববার সকাল ৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। তাদের এ ধর্মঘটে চলাকালে গতকাল শিক্ষার্থী ও রাস্তার বের হওয়া গাড়িতে পোড়া মবিল লাগিয়ে দেন শ্রমিকরা। এছাড়া তাদের অবরোধে আটকা পড়ে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

খবর২৪ঘন্টা / সিহাব

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team