খবর২৪ঘণ্টা.ডেস্ক: কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রত্যাহার করার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ।
মতিয়া চৌধুরী শেরপুর ২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সাংসদ।
শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সুপারিশ করা হয়। শহরের চকবাজারে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সাংসদ এ কে এম ফজলুল হকসহ পাঁচজনকে জেলা কমিটি থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি সভায় নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
সভা শেষে শনিবার রাত আটটায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
জেলা কমিটি থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা অপর চারজন হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামছুন্নাহার কামাল, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিয়াউল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক ও নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ। এছাড়া নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তার জায়গায় ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. বুরহান উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিকের সভাপতিত্বে সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির ৭১ সদস্যের মধ্যে ৫২ জন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, জাতীয় পরিষদ সদস্য মো. খোরশেদুজ্জামান চেয়ারম্যান, সহ-সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলে প্রভাব বিস্তার নিয়ে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগে বিরাজ করছে অস্থিরতা। মতিয়া চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত না থাকা ও দলীয় কোন্দালের কারণে প্রত্যাহার হয়েছেন। পাশাপাশি বহিষ্কার হওয়া নেতারা সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলায় জড়িত।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জন