শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বিশালপুর ইউনিয়নে অবস্থিত রানীরহাটে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে রাস্তার উপর হাট বসছে। রানীরহাট শুধু বগুড়ার শেরপুর নয়, পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলা এবং নাটোরের সিংড়া উপজেলার মানুষের জন্য এটি একটি রাস্তা। রানীরহাটে অসংখ্য পথচারী , সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল আরোহী, রানীরহাট টু নাটোর বাসের যাত্রী এবং ট্রাক, ট্রলি সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে।
রানীরহাটে সড়কের উপর হাট বসার কারনে ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়তই। এছাড়াও সড়কের উপরে হাট বসার কারনে এখানে যানযট লেগেই থাকে সবসময়। এতে করে সাধারণ মানুষ সহ বিভিন্ন চাকরিজীবি সঠিক সময়ে গন্তব্যে স্থলে পৌঁছাতে পারছে না। বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সকলকেই। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার রানীরহাট স্টান্ডে হাট বসে প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার।গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে রানীরহাট ঘুরে সরেজমিনে রানীরহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ন সড়ক দখল করে বসেছে বিশাল হাট, ধান হাট বসেছে পুরোটাই সড়কের উপর। এতে
করে সড়কের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দেখা দিচ্ছে তীব্র যানজট। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। হাটের নির্ধারিত জায়গা না থাকায় সড়কের উপর হাট বসাতে হচ্ছে বলে জানান ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে রানীরহাট গ্রামীন ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার শাখা ব্যবস্থাপক মো. জরিফুল ইসলাম জানান, যদিও উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধানের উপর নির্ভরশীল অর্থনৈতিক এলাকা রানীরহাট। তিনটি জেলার চারটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা
হওয়াতে রানীরহাট ষ্ট্যান্ডে এমনিতেই লোক সমাগম বেশি হয়। সড়কের উপর ধান হাট বসার কারনে এখানে আরও বেশি যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ঘটনা রোধে রানীরহাট থেকে ধান হাট সড়ক থেকে দুরে অন্য যেকোনো জায়গায় বসালে অফিসগামী মানুষদের সুবিধা হয়। তাছাড়া যানযটের অবসান থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছ. সাবরিনা শারমিন বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন এসেছি। এখনো কোন কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি। ওই হাটের ব্যাপারে খোজ নিয়ে তার পরে ভাববো কি ব্যবস্থা নেয়া যায়।
জেএন