1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
শেরপুরে সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেয়ার নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুকরবার, ১৭ জানয়ারী ২০২৫, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন

শেরপুরে সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেয়ার নামে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১ জুন, ২০২০

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেয়ার নামে জনগনের কাছ থেকে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে মহিলা ইউপি সদস্য সামসুন্নাহার ও তার স্বামী সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার শেরপুরের খামারকান্দি ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যের বেলায়। এ ঘটনায় থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার পায়নি সুবিধা বঞ্চিতরা।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ৩ নং খামারকান্দি ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য মোছা. সামসুন্নাহার ও তার স্বামী সোহরাব হোসেন মিলে নিজের ওয়ার্ডে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের দেয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করে আসছে। সেই সুযোগে অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য বয়স্ক, বিধবা, মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়ার নামে চাহিদার অতিরিক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কৌশলে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে যারা বেশী অর্থ দেন তাদেরকেই শুধু ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়। অন্যান্যদের কার্ড করে দিবে মর্মে ২/৩ বছর যাবৎ ঘুরালেও অদ্যবধি কার্ডের ব্যবস্থা করেনি এবং টাকাও ফেরত দেয়নি তারা। এদিকে ওই ইউপি সদস্য ও তার স্বামীর কাছে কার্ডের অনুকুলে টাকা ফেরত চাইলে তারা নানা হুমকী ধামকীও দিয়ে আসছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।

ঝাজর উত্তরপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী মৃত রেফাজ মন্ডলের স্ত্রী সখিনা বেওয়া, মৃত শাহ জামালের স্ত্রী রেলেকা বেওয়া, আব্দুল হামিদের স্ত্রী পারভীন বেগমসহ বেশ কয়েকজনকে বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতার সুবিধা পেতে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা, মৃত পিয়ার হোসেনের ছেলে নান্টু মিয়াকে বয়স্কভাতা, মৃত হায়দার পীরের ছেলে আব্দুর রবকে বিনামুল্যের সরকারি টিউবওয়েল দেয়ার জন্য ২৫০০ টাকা গ্রহন করে ওই ইউপি সদস্য ও তার স্বামী সোহরাব।

গত ৩ বছরে ভাতার কার্ড বা কার্ডের অনুকুলে ইউপি সদস্যের গ্রহন করা টাকা ফেরত চাইলে ভুক্তভোগীদের নানা হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও তার স্বামী। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যপারে সংশ্লিস্ট ইউপি সদস্য শামসুন্নাহার ও তার স্বামী সোহরাব হোসেন ভুক্তভোগীদের ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা স্বীকার করে পৃথকভাবে বলেন, কার্ডের অনুকুলে যা কিছু করেছি, তার বেশীরভাগ ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছি। ‘কার্ড না হলে আমরা কি করবো।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, ইউপি সদস্য ও তার স্বামী কার্ড দেয়ার নামে টাকা নিয়েছে কিনা আমি জানিনা। তবে এধরনের অভিযোগ কোন ব্যক্তিই আমার কাছে মৌখিক বা লিখিত আকারে জানায়নি।

এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ প্রতিবেদককে বলেন, সরকারি সুবিধা পাইতে ঘুষ দিতে হয়না, বিষয়টি আপনাদের কাছে জানতে পারলাম। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST