শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপে দিশেহারা তখন সক্রিয় হয়ে উঠেছে বগুড়ার শেরপুরের চাঁদাবাজরা। প্রভাষক আব্দুল মুন্নাফের কাছে চাঁদার টাকা না পেয়ে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে মারপিটের ঘটনায় ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার শেরপুর থানায় মুনজুর মোর্শেদ পরাগ (৩৭), কার্ডধারী সাংবাদিক নাজমুস সাকিব আপেল(৪০), হোসেন আলী (২২) ও মো. মুরাদ (৪০) এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের খোকসাবাড়ি গ্রামের মৃত মুন্টু মিয়ার ছেলে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বরশিভাঙ্গা বিএম কলেজের প্রভাষক আব্দুল মুন্নাফ গত ২ বছর যাবৎ শেরপুর পৌর শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় বাসাভাড়া করে বসবাস করে আসছে। সেই সুবাদে পৌর শহরের বাগানবাড়ি এলাকার রশিদুল হাসানের ছেলে যুবলীগ নেতা মুনজুর মোর্শেদ পরাগ, শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা গ্রামের শাজাহানের ছেলে বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নাজমুস সাকিব আপেল, উপশহরের মো. বকুলের ছেলে হোসেন আলী ও শহরের বারোদুয়ারী (মাজার গেটের) মো. মুরাদ অন্য উপজেলা থেকে এসে শেরপুর শহরে বসবাস করার জন্য প্রভাষক আব্দুল মুন্নাফের কাছে গত ১৫ দিন আগে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় গত ৩ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় পিস্তল, বার্মিজ চাকু, বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটামসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরণ করে শহরের উপশহর এলাকার বিলের ধারে নিয়ে যায় এবং বেদম মারপিট করে ১’শ টাকার ৫ টি ফাঁকা স্ট্যাম্পের উপর স্বাক্ষর নেয়। পরে প্রভাষক আব্দুল মুন্নাফের চিৎকারে পথচারী শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক শুভ ইমরান সহ আরো অনেকে এগিয়ে আসলে চাঁদাবাজরা তাকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পথচারীরা প্রভাষক আব্দুল মুন্নাফকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয়। চিকিৎসা শেষে গত ৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রভাষক আব্দুল মুন্নাফ বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি চাঁদবাজির মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, উল্লেখিত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।