শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সারা দেশের বেশির ভাগ জেলাতেই মার্কেট ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ রাখার ঘোষনা দিলেও বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে শর্ত সাপেক্ষে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অথচ মার্কেট খোলার প্রথম দিনেই শর্ত ভঙ্গ করেছে মার্কেট ব্যবসায়ীরা। এতে করে করোনা বিস্তারের ঝুঁকি বাড়ছে।
১০ মে রোববার বেলা ১১ টার দিকে শেরপুরের মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, রাবেয়া কমপ্লেক্সের মোবাইল মার্কেট, জাহানারা কমপ্লেক্স, মতিউর রহমান মার্কেট, মোহাম্মাদ আলী কমপ্লেক্স, শেরপুর প্লাজা, শেরশাহ নিউ মার্কেট, উত্তরা প্লাজা, ডক্টরস কমপ্লেক্স, সৈয়দা কমপ্লেক্স ও ডক্টর কমপ্লেক্সের বর্ধিত অংশে জুতার দোকান গুলোতে উপচে পড়া মনুষের ভির। গয়ের উপর গা লাগিয়ে কেনা কাটা করছে তারা। বেশীর ভাগ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। মার্কেটের গেটে পরীক্ষা করা হচ্ছেনা তাপমাত্রা। গেটের সামনে সাবার ও পানীর ব্যবস্থা থাকলেও তদরকি করার কেউ না থাকায় ব্যবহার করছে কেউই।
অথচ গত ৯ মে মার্কেট মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে বৈঠক করে দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা রাখা, শপিংমলসমূহের প্রবেশমুখে ক্রেতাদের জন্য হ্যান্ডস্যানিটাইজার রাখা, মাস্ক পরিধান ব্যতীত কোন ক্রেতাকে দোকানে প্রবেশ করতে না দেওয়া, সকল বিক্রেতা, দোকান কর্মচারিকে মাস্ক ও হ্যান্ড গেøাভস পরিধান করা, প্রতিটি শপিংমলের সামনে সতর্কবাণী “স্বাস্থ্য বিধি না মানলে, মৃত্যু ঝুঁকি আছে” সম্বলিত ব্যানার টানানো, প্রবেশমুখে ক্রেতাদের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোন ক্রেতার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে তাকে শপিংমলে ঢোকা থেকে বিরত রাখা, সামাজিক ও শারিরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ক্রেতাদের ১ মিটার অন্তর ৪ ফুট দূরত্বে দাড়াতে বলা প্রয়োজনে দাগ টেনে দেয়া, শপিংমলে ক্রেতার সংখ্যা সীমিত রাখা, গণশৌচাগারে পর্যাপ্ত সাবান পানি, ময়লা ফেলার ক্যান রাখা এবং দোকানে চেয়ার সংখ্যা সীমিত করতে হবে এবং চেয়ারগুলোর মাঝখানে ৪ ফুট দুরত্ব নিশ্চিত করার শর্ত সাপেক্ষে মার্কেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের সেই শর্তগুলো উপেক্ষা করে চলছে মার্কেটের কেনা কাটা। এতে করে করোনা বিস্তারের ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরশাহ নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জরুল আলম মুঞ্জু বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সকল শর্ত বাস্তবায়নের জন্য লোক নিয়োগ করা হয়েছে। তাকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উত্তরা প্লাজা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পিয়ার হোসেন পিয়ার বলেন, এখনো তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র আনা হয়নি। তবে খুব দ্রæত ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, সরকারি আদেশ যদি কোন ব্যবসায়ী না মানে তাহলে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই