শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরের সগুনিয়া গ্রামে স্লুইজ গেট এলাকায় কষ্টি পাথর বিক্রি করার কথা বলে ক্রেতাকে ডেকে এনে মারধর করে প্রায় ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রবিউল হাসানসহ (৩৫) কয়েকজন ছিনতাই কারির বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াকান্দা খাঁ পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জহুরুল ইসলামের সাথে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার জাহিয়া ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামের রবিউল হাসানের পূর্ব পরিচয় ছিল। সেই সুবাধে জহুরুল ইসলামকে দাওয়াত দিয়ে দড়িপাড়া গ্রামে নিয়ে এসে নানা আলাপচারিতার মাঝে তাকে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখায়। রবিউল হাসানের কথা মতো স্বপ্ন পুরণের জন্য জহুরুল বাড়িতে গিয়ে আবাদি জমি বন্ধক রেখে টাকা সংগ্রহ করেন।
তারপর সে সিরাজগঞ্জ থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়ে গত রোববার রবিউল হাসানের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়। এ সময় রবিউলের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে সে জহুরুলকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিযনের সগুনিয়া গ্রামের স্লুইজ গেট এলাকায় কষ্টি পাথর ও টাকা লেনদেনের জন্য আসতে বলে।
সেই মোতাবেক জহুরুল টাকা নিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় ওই স্থানে উপস্থিত হয়। এ সময় রবিউল ও বেলালসহ ১৫-১৬জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জহুরুল ও তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম এবং রফিকুলের স্ত্রী লাকি খাতুনের কাছে কষ্টি পাথরের ওই মুর্তি না দিয়ে তাদের কাছে টাকা চায়। মুর্তি না পেয়ে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায় জহুরুল ও তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম এবং রফিকুলের স্ত্রী লাকি খাতুনকে মারধর করে তাদের কাছে থাকা নগদ ৩ লাখ টাকা, দুইটি মোবাইল ফোন, ভ্যানিটিব্যাগে রাখা ব্যাংকের চেক বই ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এ সময় চিনতাইকারিদের মারধরে তারা তিনজন গুরুতর আহত হন। পরে এলাকার লোকজন খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই আহতরা শেরপুর থানায় এসে রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে রবিউল হাসান ও বেলালসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বাবস্থা নেওয়া হবে।
জে এন
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।