জাহাঙ্গীর ইসলাম, শেরপুর(বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় আবাদি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। এভাবে পুকুর খননের সংখ্যা বাড়তে থাকলে হুমকির মুখে পড়বে কৃষি আবাদ। জরুরি পদক্ষেপ না নিলে বাড়তেই থাকবে আবাদি জমি নষ্টের মত বেআইনী কাজ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শেরপুর উপজেলায় ২৫ হাজার ৫ শত ৮২ হেক্টর আবাদি জমি রয়েছে। এর মধ্যে খানপুর ইউনিয়নের শালফা, শুবলী, বোয়ালকান্দি, ছাতিয়ানী, খামারকান্দি ইউনিয়নের মাগুড়ারতাইর, গাড়িদহ ইউনিয়নের গাড়িদহ, দামুয়া, কুসুম্বী ইউনিয়নের তাঁতরা, কেল্লা, লক্ষীকোলা, বেলঘড়িয়া, টুনিপাড়া, সুঘাট ইউনিয়নের চোমড়পাথালিয়া, কল্যানী, সাতাড়া, বিশালপুর ইউনিয়নের বিশালপুর, জামাইল, চৌমুহনী, মির্জাপুর ইউনিয়নের মাকোড়খোলাসহ অন্যান্য ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামে আবাদি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করা হয়েছে। খননের প্রক্রিয়ায় আছে আরো প্রায় শতাধিক জায়গা। আর এই সকল পুকুরের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ইট ভাটায়। এভাবে পুকুর খননের সংখ্যা বাড়তে থাকলে হুমকির মুখে পড়বে কৃষি আবাদ আর খাদ্যে সংকোটে পড়বে দেশ। এমনটাই মনে করছেন শেরপুর কৃষি অধিদপ্তর।
কয়েকজন পুকুরের মালিক জানান, আবাদ করে আমাদের পোষাচ্ছেনা তাই পুকুর খনন করে মাছ চাষ করব। জমিতে ফসল ফলানোর চাইতে মাছ চাষে লাভ অনেক বেশী। তাছাড়া পুকুর খনন করার সময় ইটভাটা সহ বিভিন্ন জনের কাছে মাটি বিক্রি করেও অনেক টাকা পাওয়া যায়। পুকুর খননের আইন সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, দেশেতো অনেক আইন আছে কোনটা মানুষ মানে। এছাড়া আমার জমিতে আমি পুকুর কাটব তাতে আইন কানুনের কি বিষয় আছে আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন আক্তার বলেন, যেভাবে কৃষি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করা হচ্ছে তাতে একসময় দেশে খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে। তখন আমাদের বাহিরের দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। আমরা আবাদি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের উপর একটি জরিপ করছি। জরিপ শেষে বোঝা যাবে যে কি পরিমান আবাদি জমি নষ্ট করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জামশেদ আলাম রানা বলেন, আবাদি জমি নষ্ট করে পুকুর খনন একটি বেআইনী কাজ। ইতিমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি পুকুর খননের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পুকুর খননের কথা জানতে পারলেই তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই