শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: মার্কেট গলির দুপাশে রয়েছে ছোট বড় অনেক দোকান। দোকানের সাটার অবশ্য বন্ধ। তবুও ভিতর থেকে আওয়াজ আসছে কি লাগবে। যার যে পন্য প্রয়োজন বলছে সে পন্যের নাম। দামাদামি হচ্ছে গায়েবি আওয়াজেই। দামাদামি শেষ আলতো করে দোকানের সাটার তুলে গ্রাহকের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে পন্যগুলো। ১৩ এপ্রিল সোমবার সকালে এমনই অভিনব কায়দায় গায়েবি আওয়াজে বেচা-কেনা হচ্ছে বগুড়ার শেরপুরের শেরশাহ নিউ মার্কেট, উত্তরা প্লাজা, শেরপুর প্লাজা, মোহাম্মাদ আলী কমপ্লেক্স, ডক্টরস কমপ্লেক্স, সৈয়দা কমপ্লেক্স ও জাহানারা কমপ্লেক্সের গলির দুপাশের দোকানীরা। এতে করে ওই গলি জনতার ভিড় লেগেই আছে। এদের মধ্যে বিন্দুমাত্র নেই করোনা ভাইরাসের ভয়। নেই কোন সামাজিক দুরত্ব। উপেক্ষা করছে প্রশাসনের গণবিজ্ঞপ্তিকে।
কুসুম্বী ইউনয়নের কেল্লাপোষী এলাকা থেকে আসা ইউসুফ আলী নামের এক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহে শুনেছিলাম যে মার্কেট গলির কিছু কিছু দোকান খোলা থাকে। তারা দোকানের সাটার নামিয়ে ভিতরে বসে থাকে। তাই আজ এসেছি কয়েক জোড়া স্যান্ডেল কেনার জন্য। এসে দেখি অনেকেই কেনাকাটা করতে এসেছে।
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনার কথা শুনেছি। কিন্তু আমাদের এই কিনিসগুলো প্রয়োজন ছিল তাই কোন কিছু করার নেই।
এ ব্যাপারে এক দোকানীর সাথে কথা বলার জন্য দোকানের সামনে গেলে সে তরিঘরি করে দোকানে তালা লাগিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জামশেদ আলাম রানা বলেন, জেলা প্রশাসকের গণবিজ্ঞপ্তি উপেক্ষা করে যেকোন কায়দায় কেউ যদি দোকানে বেচা-কেনা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।