জাহাঙ্গীর ইসলাম, শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকার টোলা অত্যান্ত জনবহুল এলাকা। শেরপুরের এই জনবহুল এলাকা খন্দকারটোলা মাজার গেট হতে উচরং হয়ে আয়ড়া পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা বিরাজ করলেও দেখার কেউ নেই। এই রাস্তা দিয়ে ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে এ ছাড়াও সরকারি, বে-সরকারি মিলে প্রায় ২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। দীর্ঘ দিন রাস্তাটি মেরামত না করায় সাধারণ মানুষ সহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিবছই সামন্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের সম্পূর্ন অনুপোযোগী হলেও এদিকে খেয়াল নেই কারোরই। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান কখনোই রাস্তাটি নিয়ে ভাবেননি, তেমনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও নজর দেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। ফলে এলাকাবাসি সকল উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হলেও বছর বছর নানা কর সহ ট্যাক্স ভ্যাট ঠিকই প্রদান করছেন। এলাকবাসির দাবি দ্রæত রাস্তাটি সংস্কার করে অন্তত চলাচলের উপযোগী করা হোক। কেননা রাস্তাটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ন। ব্যবসা নির্ভর এলাকাটি রাস্তার কারনে মহাসংকটে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা তাদের পন্য শহরে আনা নেয়া এবং কেনা বেচার জন্য পরিবহন খরচ দ্বিগুন করতে হচ্ছে। তাছাড়া নিন্ম আয়ের মানুষজন যারা রিক্সা ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা এখন একেবারেই বেকার। কেননা এই রাস্তা দিয়ে রিক্সা ভ্যান চালালে প্রতিদিনই মেরামত করতে হয়, ফলে দেখা যায় যা আয় রোজগার হয় তার চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে মেরামত করতে হয়।
শেরপুরের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র রাস্তাটির এই বেহাল অবস্থার কারনে কৃষকরা যেমন তাদের পন্য পরিবহনে দ্বিগুন থেকে তিনগুন ভাড়া বেশি দিচ্ছেন, তেমনি ব্যবসায়ীরা তাদের পন্য আনা নেয়ায় ভাড়া বেশির পাশাপাশি নানা সমস্যা পোহাতে হচ্চে। এ ছাড়া জরুরী রোগী পরিবহনে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা।
শাহবন্দেগী ইউনিয়নের সদস্য ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান হাফেজ মাহমুদুল হাসান লিটন বলেন, অনেকবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সহ চেয়ারম্যানকে জানিয়ে তেমন কোন কাজ হয়নি। গত বছর নামকাওয়াস্তে সামান্য মেরামত হলেও সেটি তেমন কোন উপকারে আসেনি।
খবর২৪ঘন্টা/নই