শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে কাঁচাবাজারের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মধ্যবিত্ত সহ নি বিত্তরা অনেকটা বিপদের মুখে পরেছে। বাজারে প্রত্যেকটি সবজির দাম বেশি হওয়ার কারনে চাহিদা অনুযায়ী কেনা সম্ভব হচ্ছে না তাদের।
বুধবার ২ সেপ্টেম্বর শেরপুর রেজিষ্ট্রি অফিস বাজার , বিকাল বাজার, ফুলবাড়ীসহ বিভিন্ন খুচরা বাজার সরোজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০টাকা ও পাইকারি ২২০ বিক্রি হচ্ছে। এসব নিত্যপণ্যের দাম পাইকারি বাজারের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে। গত ১৫-২০ দিন আগেও বাজারে দাম ছিল কাঁচা মরিচ ৬০-৮০টাকা বর্তমানে ২৪০টাকা, পিয়াজ ৩৫ বর্তমানে ৫০টাকা, আলু ২৫ বর্তমানে ৫০টাকা, পোটল ৪০ বর্তমানে ৬০টাকা, বেগুন ৫০ বর্তমানে ৬৫টাকা, করলা ৫০ বর্তমানে ৮০টাকা বিক্রি হচ্ছে। সবজির দামের সঙ্গেও বেড়েছে চালের দাম। আর কাঁচা মরিচের দামেরতো কথায় নাই। তবে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি জামশেদ আলম রানা প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করতে দেখা গেছে। তিনি বাজারে বিক্রেতাদের সবজির দাম বেশি না নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন এবং সেই সাথে যারা আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তাদের হুশিয়ার করেছেন।
সবজির দাম কি জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এ বিষয়ে এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, ‘বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মরিচক্ষেত নষ্ট হওয়ায় আমদানি কমে গেছে। সে জন্য নিত্য পন্য কাঁচাবাজারের দাম বেড়ে গেছে। বর্তমানে আমরা কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনার কারণে বগুড়ারসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে বেশি দামে বিক্রয় করতে হচ্ছে।’
শেরপুর উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর ছামিদুল ইসলাম জানান, বাজারে কোন কাঁচাবাজারের ঘারতি নেই, চাহিদা মত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু একটি অসাধু ব্যবসায়ীরা বৃষ্টি ও বন্যার কারণ দেখিয়ে দাম বৃদ্ধি করছে।
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: শারমিন আক্তার জানান, মৌসুম পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে দামও বেড়েছে। এবার উপজেলায় ১ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছিল। এ মৌসুম জুনের শেষে দিকে শেষ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার ভূমি মো: জামশেদ আলাম রানা বলেন, একটি অসাধু ব্যবসায়ীরা বৃষ্টি ও বন্যার কারণ দেখিয়ে সবজির দাম বৃদ্ধি করছে। কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। কেও যদি আইন না মানে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই