শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: সাড়া দেশে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের কারণে চীন থেকে আমদানি নির্ভর রসুন ও আদার দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে চাল, বয়লার মুরগি, পেঁয়াজ, আলু, কাঁচা মরিচসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম।
শুক্রবার (২০ মার্চ) সকালে শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব নিত্যপণ্যের দাম পাইকারি বাজারের চেয়ে ১০ থেকে ৪০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে।
গত সপ্তাহের বাজারে দাম ছিল আদা ৮০ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১২০টাকা, রসুন ৬০ বর্তমানে ১২০টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ বর্তমানে ৬০টাকা, আলু ২০ বর্তমানে ৩০টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ বর্তমানে ৬০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে সবজির দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকলেও বেড়েছে চাল ও বয়লার মুরগীর দাম। গত সপ্তাহে চালের দামের চেয়ে বর্তমানে প্রতিবস্তায় দাম বাড়ছে ৪শ টাকা, বয়লার মুরগি ১শ ৪০ টাকা বর্তমানে ১শ ৭০টাকা।
পৌর শহরের রেজিষ্ট্রি অফিস বাজারে কিনতে আসা ক্রেতা দোলন মহন্ত বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় নিত্যপণ্যের দাম কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে গেছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে।
শেরুয়া বটতলা বাজার করতে আসা রঞ্জন সাহা, রুবেল, আসাদুল বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার এখন অস্থির। কোনো অজুহাত পেলেই আড়ৎদাড়রা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। দ্রæত প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন না করেলে এই সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠবে। যেমন লবণ দেশে পর্যাপ্ত ছিল তারপরও গুজব ছড়িয়ে কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ি দাম বৃদ্ধি করেছিল। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দ্রæত তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
ব্যবসায়ী লাল মিয়া, চাঁনমিয়া, বক্কর বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বাহির দেশ থেকে রসুন ও আদা আসা কমেছে। এবং যানবাহন কম চলায় পর্যপ্ত মালামাল না পাওয়ায় কিছু কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি হয়েছে।
খবর২৪ঘন্টা/নই