রাবি প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তন আজ। বিশ্ববিদ্যালয় আচার্যর উপস্থিতি-অনুপস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে স্থগিত হওয়ার পর থেকে তারিখ ঘোষণার প্রায় ২ বছর পর পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে এই আয়োজন। নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে চলে এসেছেন। এখন অপেক্ষা কেবল রাষ্ট্রপতির।
গ্রাজুয়েটরা সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছেন। অনেকেই বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত থাকায় পুরোন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বহুদিন পর। এতে এক ধরনের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে ক্যাম্পাস। সবাই ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে চাচ্ছেন এই বিশেষ দিনটিকে।
সমাবর্তন উপলক্ষে দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, দুপুর সাড়ে ১২টায় নিবন্ধিত গ্রাজুয়েটদের আসন গ্রহণ, বিকেল ৩টায় সমাবর্তন শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা শেষে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। সেখানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এছাড়া সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন ও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এদিকে সমাবর্তনে যোগদানের আগে রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল’ ও ছাত্রদের জন্য জাতীয় নেতা ‘শহীদ এ এইচএম কামারুজ্জামান হল’ নামে দুইটি দশতলা আবাসিক হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
অনুষ্ঠানে উপমহাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেনকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
আয়োজন শেষে বিকেল ৫টায় রাবি স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সেখানে গান পরিবেশন করবেন দেশের বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনসহ বিভিন্ন শিল্পী।
সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, সমাবর্তনটিকে সফল করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান স্পটগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এবার জাঁকজমকপূর্ণভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবাসিক হলগুলোতে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সুযোগ থাকবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত স্নাতকোত্তর, এমফিল, পিএইচডি, এমবিবিএস, বিডিএস ডিগ্রি অর্জনকারীদের নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হয়। দশম সমাবর্তনে অংশ নিতে মোট ৬ হাজার ৯ জন গ্রাজুয়েট নিবন্ধন করেছেন।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই