সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকারবিবার , ৩ ডিসেম্বর ২০১৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শীতে নখের বাড়তি যত্ন

অনলাইন ভার্সন
ডিসেম্বর ৩, ২০১৭ ১২:১০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক: শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর তার আর্দ্রতা হারাতে শুরু করেছে। এই আর্দ্রতার অভাব শরীরের শীতজনিত সমস্যার প্রধান কারণ। তাই পুরো শীতজুড়ে শরীরের প্রতিটি অংশের আলাদা আলাদা যত্নর প্রয়োজন। শীতে শরীরের আর্দ্রতার অভাবে নখ ভেঙ্গে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তবে সঠিকযত্ন নিলে সবসময়ই নখ ভালো রাখা যায়।

.

শীতে প্রকৃতি তার আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। এসময় আমাদের হাত-পা অনেক শুষ্ক হয়ে যায় এবং নখের ত্বকও শুকিয়ে যায়। যাদের নখ বেশি শুষ্ক হয়, একপর্যায়ে এসে সে নখগুলো ভেঙে যায়। তাই হাত বা পায়ের নখ যেন খুব সহজেই শুষ্ক না হয়ে যায়, সেজন্য মেনিকিওর-পেডিকিওর ঠিক সময় মতো করিয়ে নিতে হয়।

নখের মেনিকিওর ও পেডিকিওর ঠিকভাবে করতে ময়েশ্চারাইজার, ক্রিম, কিউটেকার্লসহ অনেক কিছুই ব্যবহার করা হয়। এর ফলে নখকে একটি নির্দিষ্ট আকারে ফুটিয়ে তোলা যায়। অন্তত প্রতি ১৫ দিনে একবার হলেও মেনিকিওর পেডিকিওর করে নেওয়া উচিৎ। তবে নখের যতেœ আরো সচেতন থাকতে চাইলে প্রতি ১০ থেকে ১২ দিনের ব্যবধানে মেনিকিওর-পেডিকিওর করে নিতে পারেন।

নখ ভেঙে গেলে ভয়ের কিছু নেই। ভেঙে যাওয়া নখে নিয়মিত নেইল হার্ডন ব্যবহার শুরু করুন। রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে নখে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন। এ ব্যবহারে নখের ভেঙে যাওয়া ভাব অনেকটাই কমে যাবে।

যাদের নখ খুবই পাতলা এবং নরম তারা চাইলে নিয়মিত নখে রসুন ঘষতে পারেন। রসুনের ব্যবহারেও নখ অনেকটাই শক্ত হয়ে আসবে।

এছাড়াও সামান্য কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে তার মধ্যে কয়েক মিনিট ধরে হাত ও পায়ের নখ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভিজানো নখ ঘষে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। কুসুম গরম পানিতে নখের যতœ নিলে নখের চারপাশের ত্বক যেমন পরিষ্কার হয়, তেমনি নখের পার্শ্ববর্তী ত্বকের লাবণ্যতাও দীর্ঘ দিন টিকে থাকে।

অনেকেই নখকে বিভিন্ন ঢঙ্গে সাজাতে পছন্দ করেন। এর মধ্যে কেউ কেউ ‘রাউন্ড শেপ’ আবার কেউ ‘স্কয়ার শেপ’ বেশি স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এভাবে একেকজনের নখের স্টাইলটাও ভিন্ন হয়। তাই যেকোনো অবস্থাতেই নখের ভেঙে যাওয়া লক্ষণ দেখা দিলে তা কেটে ছোট করে নিন। এতে পুরো নখটি ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে।

নখের পাশ থেকে অবান্তর চামড়া ওঠাকে কিউটিক্যাল বলা হয়। নখের চারপাশ থেকে চামড়া উঠে আসা বা কিউটিক্যাল শীতের আরেকটি বড় সমস্যা। এটি নখের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে। আবার এই চামড়া ধরে টানাহেচড়া যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

কখনো কখনো আঙুল অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়। তাই নখের পাশজুড়ে কখনো কিউটিকাল দেখা দিলে যা করতে হবে তা হলো: হাত-পায়ের নখ পানিতে কয়েক মিনিট ধরে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর হাত ও পায়ের নখ পরিষ্কার করে মুছে কিউটিকালগুলো কেটে পরিষ্কার করুন।

প্রয়োজনে কিউটিকাল কাটতে স্পেশাল কাটার ব্যবহার করুন। এ কাটারগুলো এখন ছোট-বড় সব ধরনের কসমেটিক্সের দোকানেই পাওয়া যায়। নিয়মিত মেনিকিওর-পেডিকিওর করালে কিউটিকালের সমস্যা একেবারেই দূর হয়ে যায়।

খবর২৪ঘন্টা/নই

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।