চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা ধাইনগর ইউপির চেয়ারম্যান আ.ক.ম তাবারিয়া চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। চলতি বছরের ২১ জুন ধাইনগর এলাকায় ছেলের বউয়ের সঙ্গে শশুরের জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া ও চাঁদাবাজির মামলায় সোমবার বিজ্ঞ আমলী আদালত বিচারক নাজমুল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
এর আগে বাবর আলীর স্ত্রী তালাক দেয়া স্ত্রী নাসিমা বেগম বাদি বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যার নাম্বার (৩০৩ সি/১৮ (শিব), তারিখ ২৬-জুলাই ১৮)। মামলাটি শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাসকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব অর্পণ করেন আদালত। এরই প্রেক্ষিতে মামলাটির তদন্ত সম্পূর্ণ করে গত ০৫- নভেম্বর -১৮ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী মামলাটি পুনরায় আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, মহেশপুর গ্রামের বাবর আলির ছেলে ইউসুফ আলির সঙ্গে একই গ্রামের প্রয়াত জোবদুল হক জোবুর মেয়ে সাথী খাতুনের প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর একই বাড়িতে সবাই একসঙ্গে বসবাস করতেন। বিয়ের পরই পূত্রবধূর দিকে কু-নজর পড়ে শ্বশুর বাবর আলির। প্রায় দুই মাস আগে পূত্রবধূকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় শ্বশুর।
খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তাবারিয়া চৌধুরী লোক পাঠিয়ে তাঁদের বারঘোরিয়া হতে আটক করে ধাইনগর ইউপি কার্যালয়ে আটক করে রাখা হয়। পরে গত ২২ শে জুন স্থানীয়ভাবে বৈঠক বসানো হয়।
বৈঠক সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে স্ত্রী ও তিন সন্তানের মা নাসীমা বেগমকে দিয়ে বাবর আলিকে তালাক দেওয়া হয়। এরপর ছেলে ইউসুফ আলিকে স্ত্রী সাথী খাতুনকে তালাক দিতে বাধ্য করা হয়। এরপরই দেড় লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে পূত্রবধূ সাথীর সঙ্গে শ্বশুরের বিয়ে দেওয়া হয়। তালাক ও বিয়ের কাজটি সম্পূর্ণ করেন একই ইউনিয়ের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) আনারুল ইসলাম। এর পর মহেষপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে শ্বশুর ও নববধূ বসবাস করতে থাকে। অন্যদিকে, ছেলে ইউসুফ আলি তার মাকে নিয়ে মামার বাড়ীতে বসবাস করছে। এমন ঘটনায় এলাকায় বেশ তোলপাড় সৃষ্টি করে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন