অনলাইনে শিগগিরই চালু হচ্ছে বিয়ে-তালাক নিবন্ধন। এ সম্পর্কিত ওয়েবসাইট তৈরির শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এই অনলাইন ম্যারেজ অ্যান্ড ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম আমরা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেব।
সোমবার আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রম প্রতিরোধে প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে এক সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের জেন্ডার, জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি কর্মসূচি এ সংলাপের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স লুকানোর কোনো সুযোগ থাকবে না, বাল্য বিয়ে দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। বিয়ে নিয়ে প্রতারণা দূর হবে। ভেরিফাই করা যায় এমন ডকুমেন্ট ছাড়া অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন হবে না।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ইতিমধ্যে ‘বন্ধন ডটজিওভি ডটবিডি’ নামে ওয়েবসাইটটির আর্কিটেকচার ও প্রটোকলসহ ‘ডেমো’ তৈরি করেছে বলে তিনি জানান।
তবে জন্ম নিবন্ধন সনদকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন ও যাচাইকরণের ব্যবস্থা ছাড়া বয়স নিয়ে প্রতারণার সুযোগ রয়ে যাবে বলে মনে করেন এই কর্মসূচির পরিচালক নবনীতা চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল করার কাজ শুরু হলেও, বিয়ে বা কাজে নিয়োগের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ ডিজিটালি যাচাই করার কোনো বাধ্যবাধকতা বা বিবাহ নিবন্ধন ডিজিটাল করার কোনো উদ্যোগ নেই।
‘তাই এখনও সনদ জালিয়াতি বা ভুয়া দলিলপত্র দিয়ে কাজ সারার উপায় থেকে যাচ্ছে। এর ফলে বাল্যবিবাহ বা শিশু শ্রমে নিয়োজিতদের কোনো পূর্ণ পরিসংখ্যানও থাকছে না। ১৩ বছরের মেয়েকে ১৮ লিখে বিয়ে দেওয়া যাচ্ছে, কাজেও নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে।’
বিবাহ নিবন্ধন ও কাজের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাচাইকরণকেও ডিজিটাল পদ্ধতির আওতাভুক্ত করার তাগিদ দেন তিনি।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র জরিমানা দিয়ে বা আইনের কঠোর প্রয়োগ করে নয়, আন্তরিকতা-ভালবাসা দিয়ে একটা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হবে। এমন প্রযুক্তিগত কাঠামো তৈরি করতে হবে, যেখানে কোনো ফাঁকি দেওয়ারই সুযোগ থাকবে না।
বিএ/