অধ্যাপক আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর অভিযোগের সত্যতার আলামত মিলেছে। হাইকোর্ট যৌন হয়রানির বিষয়ে যে ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছে আমরা তার প্রমাণ পেয়েছি। ওই দুই ছাত্রীর সাথে তার (শিক্ষকের) কথা-বার্তা, অঙ্গভঙ্গি এবং আচরণ যৌন হয়রানির মতোই ছিল বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।’ সোমবার তদন্ত কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের কাছে জমা দেবে বলে জানানও তিনি।
যৌন হয়রানির শিকার ওই দুই ছাত্রীকে শিক্ষক বিষ্ণুকুমার হুমকি দিচ্ছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘তারা বলেছিল শিক্ষক অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে। আমরা তদন্তে পেয়েছি শিক্ষকের অনুসারী কিছু শিক্ষার্থীকে দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে ভুক্তভোগীদের বলা হয়েছে। শিক্ষক বড় হুমকি হতে পারত তাদের একাডেমিক ফলাফলে সেজন্য তাকে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রী এবং ২৭ জুন দ্বিতীয় বর্ষের আরেক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ ইনস্টিটিউটে বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ইনস্টিটিউটের পরিচালক আবুল হাসানকে আহ্বায়ক করে এবং ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আকতার বানু ও অধ্যাপক রুবাইয়াত জাহানকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন