বিনোদন,ডেস্ক: বয়স মাত্র ২২ বছর৷ এতো কম বয়সেই স্বামী এবং মেয়েকে সামলে সাবলম্বী হয়ে উঠেছেন৷ দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন মীরা কাপুর৷ কেমন সেই অভিজ্ঞতা? শেয়ার করলেন মীরা৷ তবে অভিনেত্রী না হয়েও বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইনের তকমাটা ধীরে ধীরে জুড়ে যাচ্ছে তাঁর নামের পাশে৷ আবারও নিজের কমেন্টের জেরে ট্রোলড হলেন মীরা৷ এবারেও সেই বিতর্ক উঠে এসেছে প্রেগনেন্সি নিয়ে৷
সম্প্রতি মীরার একটি কসমেটিক ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন বেশ জনপ্রিয় হয়েছে৷ সেই কসমেটিক ব্র্যান্ডটি আসলে অ্যান্টিএজিং ক্রিমের৷ প্রেগনেন্সির পর ত্বক থেকে গ্লো চলে গিয়ে ডালনেস চলে আসে৷ তা ফেরত আনতেই ব্যবহার করতে হবে এই ক্রিম৷ এমনই বার্তা দিয়ে বিজ্ঞাপনটি শ্যুট করেছিলেন মীরা৷ তার ওপর নিজের দ্বিতীয়বার মা হওয়ার বিষয়েও অনেক কিছু বলেছেন অ্যাডটিতে৷ সেখানেই নেটিজেনের আপত্তি৷ তাদের দাবি, বিজ্ঞাপনটি একেবারেই ভুল৷ বয়স বাড়লেও মহিলারা ভেতর এবং বাইরে থেকে সুন্দর থাকেন৷ তাহলে তাঁদের কুৎসিত বলার কোনও অধিকার মীরার নেই৷
এছাডা়ও নানা অভিযোগ এবং ট্রোলিং শুরু হয়েছে মীরার ইনস্টাগ্রামে৷ তাঁর প্রতিটি মন্তব্য জুড়ে চলছে বিতর্ক৷ তাঁর বয়স, পরিবার, বিয়ে, স্বামী এমনকি প্রশ্ন উঠছে তাঁর ব্যবহার নিয়েও৷ মীরার ভিডিওটিতে এমন একটিও কমেন্ট নেই যেখানে তাঁকে কেউ প্রশংসা করেছেন৷ সাইবার ইউজাররা লিখেছে, “এইটুকু বয়সে পরিবার, স্বামী, সন্তান নিয়ে এতো কথা বল কীকরে? তার ওপর তুমি কোনও কাজই কর না৷ ত্বক যদি খারাপও হয়ে যায়, বিভিন্ন বিদেশি ট্রিটমেন্ট কিংবা অপারেশনে তুমি আবারও সুন্দর হয়ে উঠবে৷ তাহলে এই কসমেটিক প্রডাক্টটাকে প্রচার করার মানে কী?”
এমনকি মীরার হাউজওয়াইফ হওয়া নিয়েও শুরু হয়েছে প্রশ্ন৷ “প্রথমত মীরা কিছু করে না৷ বিয়ে করে, স্বামী এবং বাচ্চার দায়িত্ব সে নেয় না৷ সবই ন্যানিকে দিয়ে করায়৷ মীরা গোটাটাই ফেক৷ তাঁর যা বলে শুধু ক্যামেরার জন্য৷ এর আগেও সন্তান এবং মায়ের সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন খারাপ মন্তব্য করেছে ও৷”
ছবি সৌজন্যে-ট্যুইটার
“মীরা কাপুরকে যে কেন কেউ মুখ খুলতে দেয় বুঝতে পারি না৷ মুখ খুললেই কিছু কিছু কন্ট্রোভার্সি ক্রিয়েট করবেই৷ তার থেকে চুপ করে থাকাই ভালো৷” মীরা কেবল শাহিদ কাপুরের জন্যই পাপারাৎজীর গুরুত্ব পাচ্ছেন৷ নয়তো তাঁর নিজের কোনও পরিচিতি নেই এই পৃথিবীতে৷ এই ধরণের নানা তোপের মুখে পড়েছেন মীরা৷
সৌজন্যে-ট্যুইটার
এর আগেও তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “আমি কাজ কেন করব? আমি তো আর বাচ্চাটা এই জন্য নিইনি যে সারাদিন বাইরে কাজ করব তারপর বাড়ি ফিরে কয়েক ঘন্টার জন্য মেয়ের কাছে থাকব৷ ও তো কুকুরের ছানা নয়৷” তাঁর এই কমেন্ট থেকেই শুরু হয়েছিল প্রথম কন্ট্রোভার্সি৷ এর কিছুদিন পর মীরার কলেজের এক ব্যাচমেট মীরাকে খোলা চিঠি বিখে বলেছিলেন, “আজ তোমায় দেখলে অবাক লাগে৷ কলেজে তুমি কীভাবে সবাইকে কীভাবে তাদের চেহারা, পোশাক আশাক দেখে বিচার করতে৷ আজ কত বড়ো বড়ো কথা বলছ৷”
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন