1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
শাহরুখের ৮ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ অপরাহ্ন

শাহরুখের ৮ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮

খবর ২৪ ঘণ্টা, বিনোদন ডেস্ক:মুম্বইয়ের আয়কর বিভাগ শাহরুখ খানের আলিবাগের বাংলোয় রেজিস্ট্রিভুক্ত ‘দেজা ভ্যু’ ফার্মস প্রাইভেট লিমিটেডকে প্রাথমিক ভাবে ৯০ দিনের জন্য ক্রোক করল। এর আগে গত ডিসেম্বরেই ‘প্রহিবিশন অফ বেনামি প্রপার্টি ট্রানজাকশনস অ্যাক্ট’(পিবিপিটি) এই ফার্মটিকে ক্রোক করার নির্দেশ জারি করেছিল আয়কর বিভাগ।

মুম্বইয়ে আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এই বেনামি আইনের ২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাঁরা যদি বুঝতে পারেন, কোনও ব্যক্তি বা উপভোক্তা এই বেনামি সম্পত্তির আইনভঙ্গ করেছেন, তাহলে তাঁরা ৯০ দিনের জন্য সেই সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দিতে পারেন। আলিবাগে শাহরুখের এই বাংলোর আনুমানিক মূল্য ১৪ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। আলিবাগের সমুদ্রতটে ১৯ হাজার ৯৬০ বর্গমিটারের এই বাংলোয় রয়েছে সুইমিং পুল, বিচ আর হেলিপ্যাড। মুম্বইয়ের আয়কর বিভাগের অফিসারদের সঙ্গে কথা থেকে বোঝা গেল, ২৪ জানুয়ারি শাহরুখের অফিস ‘রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট’ এবং পানজাব/কলকাতা নাইট রাইডার্স এর চিফ একজিকিউটিভ অফিসারকে ই-মেল পাঠানোর পরেও তিনি কোনও উত্তর না দেওয়ায় শাহরুখের আলিবাগ বাংলো ক্রোক করার এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
মহারাষ্ট্র প্রজাস্বত্ব এবং কৃষিজমি আইনে রাজ্য সরকার এবং কালেক্টরের অনুমতি ছাড়া কৃষিজমিকে বাসজমিতে পরিণত করা যায় না। আয়কর বিভাগের অফিসাররা বুঝতে পেরেছিলেন, ‘দেজা ভ্যু’ ফার্ম হাউসের নাম করে ফার্মিংয়ের কার্যকারিতার আড়ালে আসলে আলিবাগের কৃষিজমিকে শাহরুখ এভাবেই নিজের বিলাসী প্রমোদকাননে পর্যবসিত করেছেন। ২০০৪ সালে এই জমি কেনার সময় প্রথম ট্রান্সফার সার্টিফিকেটে শেয়ার হোল্ডার হিসাবে শাহরুখ এবং গৌরি খানের নাম ছিল। এর পর প্রথম ডিরেক্টরের জায়গায় অন্য তিন জন ডিরেক্টর আসেন। তাঁরা হলেন রমেশ ছিব্বা, সরিতা ছিব্বা এবং রাজারাম আজগাঁওনকর। সেই সময়ই শাহরুখ ‘দেজা ভ্যু’ ফার্মকে ৮ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা বন্ধকহীন ঋণ দেন।

২০০৪ সালে ওই কৃষি জমি কেনার সময় আজগাঁওনকরকে কৃষক হিসাবে দেখানো হয়েছিল। শর্ত হিসাবে বলা হয়েছিল আগামী তিন বছরের মধ্যে ওই জমিকে চাষের জন্য ব্যবহার করার কাজ শুরু করতে হবে। এর পর ২০১১ সালে আজগাঁওনকরের জায়গায় ‘দেজা ভ্যু’-র ডিরেক্টর হন নমিতা ছিব্বা। আয় কর বিভাগের অফিসারেরা অনুসন্ধান করে বুঝতে পেরেছেন, কৃষিকাজের জন্য এই জমি ব্যবহার করে লাভ করার বদলে ‘দেজা ভ্যু’ শাহরুখের টাকায় শুধু জমি কিনেছে। তদন্তকারী অফিসারের জানতে পেরেছেন রমেশ, সবিতা এবং নমিতা ছিব্বারা আসলে হলেন যথাক্রমে শাহরুখের শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালিকা। আর শাহরুখের ‘দেজা ভ্যু’-র একমাত্র আয় হল সেই শাহরুখেরই দেওয়া ঋণের টাকা। ব্যাপারটি প্রথম নজরে আসে যখন আলিবাগের জেলা সংগ্রাহক বিজয় সূর্যবংশি আলিবাগের উপকূলীয় বিধানের সমুদ্রমুখী ৮৭টি বাংলোর বৈধতা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন। মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রকের বয়ান অনুযায়ী, পিবিপিটি আইনে প্রাথমিকভাবে ক্রোক হওয়া বেনামি সম্পত্তির অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাত বছরের হাজতবাস এবং সম্পত্তির চলতি বাজারদরের শতকরা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে।
খবর ২৪ ঘণ্টা.কম/ জন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST