খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে থাকলে সরকারের একদলীয় শাসন দীর্ঘ করতে পারবে না, ৫ জানুয়ারির মতো এক তরফা ভোট করতে পারবে না। তাই খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে রেখেছে সরকার। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে দল ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি নিজস্ব চিকিৎসকের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না সরকার।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বাংলাদেশের পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেয়ার কথা জানিয়ে নাগরিকত্ব নিয়ে ‘বিতর্ক’তৈরি করতে গিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নিজেই গর্তে পড়েছেন।
তারেক রহমানের নাগরিকত্বের ব্যাখ্যায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘প্রলাপ বকা’ ও ‘অপপ্রচার’ বন্ধ করতেও পরামর্শ দেন ফখরুল।
মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সংসদ ভেঙে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে বাধ্য করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পরাজিত করে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনব।
মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নুল আবেদিন ফারুকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ