স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানো যায় কি-না সে উদ্দেশ্যে হেফাজতে ইসলাম সহিংসতা চালিয়েছিল বলে তদন্তে উঠে আসছে।
তিনি বলেন, তাদের অবশ্যই রাজনৈতিক অভিলাষ ছিল। হেফাজতের নানা ধরনের গোপনীয় কর্মকাণ্ড আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী খতিয়ে দেখছে।
আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভূমি অফিসে হেফাজত অগ্নিসংযোগের পেছনে নিশ্চয়ই উদ্দেশ্য ছিল অশান্তি সৃষ্টি করা। তারা ডিসির, পুলিশের বাংলো অ্যাটাক করে এবং পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এমনকি তারা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ইনস্টিটিউটেও ভাঙচুর চালায়। এই শব্দগুলো একসঙ্গে মূল্যায়ন করলে তাদের মূল উদ্দেশ্য বের হয়ে আসবে।
তিনি বলেন, হেফাজতের ফিন্যান্স যারা করেছে তাদের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। কিছু কিছু উপাদান পাচ্ছি, তবে এখনই অ্যানাউন্স করতে চাই না। আরও তদন্ত করে তারপর অ্যানাউন্স করব।
মন্ত্রী বলেন, হেফাজতে ইসলামের গঠনতন্ত্রে পরিষ্কার লেখা আছে তারা কোনও রাজনৈতিক ইস্যুতে অংশগ্রহণ করবে না। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি রাজনৈতিক বেড়াজালের মধ্যে আটকে বিভিন্ন অপকৌশলে চিহ্নিত জঙ্গি, সন্ত্রাসী এবং রাষ্ট্রের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যায়।
বাবুনগরীর মামলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাবুনগরীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে মামলা পর আটকও হয়েছিল তিনি। পরে জামিন নিয়েছিল। সেটা এখন কোন অবস্থায় আছে জেনে এরপর জানাতে পারব। তার বিরুদ্ধে যেগুলো মামলা হয়েছে সবগুলো আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
জেএন