শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: সরকারি চাকরী এখন সোনার হরিনের মত। অনকেই ছুটছেন সরকারি একটি চাকরীর জন্য। হোক সেটা ছোট অথবা বড়। যারা পাচ্ছে তারা অনেক খুশি কিন্তু যারা পাচ্ছেনা তারা হতাশায় ডুবে মরছে। এমন শিক্ষত বেকারদের জন্য বগুড়ার শেরপুর উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডা. মো. রায়হানের তত্বাবধানে ২০১৫ সালে দেশী মুরগির বানিজ্যিক ভিত্তিক (অরগানিক) খামার গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়। যাতে অংশ নেয় পৌরসভা সহ ১০ টি ইউনিয়নের শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা।
প্রশিক্ষন শেষে খামার করতে এগিয়ে আসে ১০ জন যুবক। ধীরে ধীরে এস সুফল দেখে খামার করতে আগ্রহীর সংখ্যা বেড়ে যায়। আর এতেই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় পৌরসভার নয়াপাড়া এলাকার মাস্টার্স পাশ করা সুমাইয়া সামাদ, খানপুর ইউনিয়নের শালফা গ্রামের মার্জিয়া খাতুন, গাড়িদহ ইউনিয়নের চকপাথারিয়া গ্রামের নাদিয়া পারভিন, বোংগা গ্রামের সুরাইয়া ফারহানা রেশমা, শিবপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, খামারকান্দি গ্রামের আব্দুস সালাম। এ ছাড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব খামারের সঙ্গে যুক্ত থেকে আরো প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারেরও অধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছেন।
এ ব্যাপারে সফল উদ্যোক্তা মার্জিয়া খাতুন জানান, আমি ইউটিউবে শেরপুর উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডা. মো. রায়হান স্যারের ভিডিও দেখে অনুপ্রানিত হই। পরে “স্বপ্ন ছোঁয়ার সিড়ি” প্রানী সম্পদ উদ্যোক্তা পাঠশালা থেকে প্রশিক্ষন গ্রহন করে ১০০ টি দেশী মুরগি দিয়ে শুরু করি। আল্লাহর রহমতে এখন আমি সফল একজন খামারী।
মাস্টার্স পাশ করা সুমাইয়া সামাদ ও নাদিয়া পারভিন বলেন, সরকারি চাকরীর অনেক চেষ্টা করেছি। না পেয়ে হতাশায় পড়েছিলাম। পরে উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডা. মো. রায়হানের তত্বাবধানে প্রশিক্ষন গ্রহন করে দেশী মুরগির বানিজ্যিক ভিত্তিক (অরগানিক) খামার করে এখন আমি সাবলম্বি।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রশাসন পদকপ্রাপ্ত ডা. মো. রায়হান পিএএ বলেন, সকলের আপ্রান চেষ্টায় শেরপুর উপজেলায় এখন ৯ টি হ্যাচারী, ও ২ টি “স্বপ্ন ছোঁয়ার সিড়ি” প্রানী সম্পদ উদ্যোক্তা পাঠশালা গড়ে তোলা হয়েছে। সপ্তাহে শুক্রবার ও শনিবার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। যেখানে দেশের সকল জেলা থেকে নতুন উদ্যোক্তারা এসে দেশী মুরগির বানিজ্যিক ভিত্তিক (অরগানিক) খামার বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে সাবলম্বি হচ্ছে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল্ড (এসডিজি)’র অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এবং গ্রামীন অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে “স্বপ্ন ছোঁয়ার সিড়ি” মডেলটি গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করবে বলে আমি আশাবাদি।
জেএন