খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নের জন্য জোর চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হতেও প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটির অনেক নেতা। দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন এমন ঘোষণা দিয়েছেন তারা। নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সেভাবেই তারা প্রচারণা চালাচ্ছেন। দশম সংসদ নির্বাচনে প্রায় অর্ধশত আসনে আওয়ামী লীগ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। ১৬ টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন তারা।দশম সংসদ নির্বাচনে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি আওয়ামী লীগ। বরং তাদেরকে দলে ফিরিয়ে নিয়েছে দলটি। একাদশ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সামাল দেওয়ার পাশপাশি দলের মধ্যে কেউ যাতে বিশৃংখলা সৃষ্টি না করে সেজন্য আগাম হুশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
উত্তরবঙ্গে ট্রেনযাত্রা সফওে ওবায়দুল কাদেও বলেছেন, জণগনের সঙ্গে যাদেও সম্পর্ক নেই, যারা জনবিছিন্ন তাদেরকে মনোনয়ন দেবে না আওয়ামী লীগ। ব্যানার, বিলবোর্ড আর ফেস্টুন টানিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া যাবে না।আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন এমন একাধিক নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, দশম সংসদ নির্বাচনে বিনাভোটে এমপি হয়ে অনেকেই তৃর্ণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদেও ভূলে গেছেন। বিএনপি ও জামায়াতের লোকদেও নিয়ে তারা নিজের পক্ষ ভারি করেছেন। কাবিখা ও টিআরের গম আত্মসাত করেছেন। টাকার বিনিময়ে উপজেলার চেয়ারম্যান, পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছে। এসব কারণে আওয়ামী লীগের বহু ত্যাগী নেতাকর্মী বর্তমানে দলীয় কর্মকান্ড থেকে দূরে রয়েছেন। এদেরকে পুনরায় দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় করা আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
দশম সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৭ আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ সেলিম। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন হাজী সেলিম। জানা গেছে, একাদশ নির্বাচনে হাজী সেলিমের পরিবর্তে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তার বড় ছেলে সোলায়মান সেলিম। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন এমনটি বলেছেন হাজী সেলিমের একাধিক সমর্থক। ঢাকা-১৬ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ইলিয়াস উদ্দীন মোল্লার বিরুদ্ধে স্বতস্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন দলীয় নেতা এস এ মান্নান কচি। নির্বাচনের পর তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পরিবর্তে তাকে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে ইলিয়াস মোল্লা কিংবা এস এ মান্নান কচি যাকেই মনোনয়ন দেবে সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী দেখা যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।সূত্র: আমাদের সময়.কম
খবর ২৪ ঘণ্টা/এম
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।