বিনোদন,ডেস্ক: হাজার হাজার টাকার ক্রিম-মাখা, ফেসিয়াল করা গাল মহিলারা ব্লেড দিয়ে কামাতে যাবেই বা কেন বলুন তো! দাড়ি-গোঁফ নেই, তাই লক্ষ ব্লেডে কামানোর প্রয়োজনও নেই।
‘‘লক্ষ ব্লেডেও কামালে যে উঠবে না গোঁফ আর দাড়ি, বুঝলে নারী!’’
নারী কী বুঝলো ভগবান জানেন, তবে দুষ্টু-মিষ্টি নায়িকা ও তাঁর সহচরীরা হার মেনে নিলেন। আহা! হারাতেও তো জিত। জিতুক না ওরা।
গোটা বিষয়টা যাঁদের মাথার ওপর দিয়ে সাঁ করে বেরিয়ে গেল, তাঁরা ১৯৭৪ সালের ‘মৌচাক’ ছবিটি দেখেননি, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
তা ছাড়া, হাজার হাজার টাকার ক্রিম-মাখা, ফেসিয়াল করা গাল মহিলারা ব্লেড দিয়ে কামাতে যাবেই বা কেন বলুন তো! দাড়ি-গোঁফ নেই, তাই লক্ষ ব্লেডে কামানোর প্রয়োজনও নেই।
তবে, এ ক্ষেত্রে একটা কিন্তু রয়েছে। যে সব মহিলারা নিজেদের মসৃণ ত্বকের যত্ন, নিজেদের কাল-ঘাম বা মেধা দিয়ে করেন, তারা এমন প্রশ্ন করতেই পারেন। সুতরাং, এই লেখাটি যে একেবারেই ফেমিনিজম নিয়ে নয়, তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন সকলে।
ঘরের, বাইরের এবং একই সঙ্গে ত্বকের যত্ন নেওয়া নারীগণ, যাঁরা ঘাড় কাত বা মাথা নত করেন না, তাদের গোঁফ-দাড়িওয়ালা ‘বিরাট কোহলি’-দের কাছে কিছু প্রশ্ন!
অনেক কিছুই তো তোমরা পারো, যা আমরা পারি না। হিসু পেলে, রাস্তায় দাঁড়িয়েই তো তোমরা তা করতে পারো, আমরা তা পারি না।
ইউটিআই-এর ভয়াবহ প্রকোপের হাত থেকে সদ্য ঠিক হয়ে যাওয়া শ্রীলেখা মিত্রকে জিজ্ঞেস করে দেখ! যখন দূরে কোনও শো-এ যেতে হয় চার-পাঁচ ঘণ্টার পথ পেরিয়ে, প্রথমেই মনে মনে অঙ্ক কষে ফেলি— ঘণ্টা প্রতি কত লিটার জল খেলে ওই দীর্ঘ পথে নেচার্স কল-কে আটকে রাখা সম্ভব।
সত্যিই তো, আমরা কত কিছুই তো পারি না!
রাস্তায় যে শৌচালয়গুলি রয়েছে, সেগুলোর সম্পর্কে খবর নিয়ে দেখেছি যে, ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া-দুর্গন্ধ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে দিব্য দিনরাত্রি যাপন করছে। মহিলাদের ইউটিআই হবে না তো কি ‘পিকে’-দের হবে?
বুঝতে না পারলে, ‘পিকে’ (২০১৪) ছবিটি আরও একবার দেখে নিন।
আর মহিলারাও বলিহারি! নিজেদের বাথরুমটা পরিষ্কার করে রাখতে পারো, অথচ পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার সময়ে এত উদাসীনতা কেন!
লিখতে লিখতেই অ্যামোনিয়ার তীক্ষ্ণ ঝাঁঝে গা-টা গুলিয়ে উঠলো। যাই, একটু বডি স্প্রে ছড়িয়ে আসি।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/জেএন