1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
লিবিয়ায় মানব পাচারের ঘটনায় মাদারীপুরে মামলা, গ্রেফতার ২ - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ০১ জানয়ারী ২০২৫, ১১:৪২ অপরাহ্ন

লিবিয়ায় মানব পাচারের ঘটনায় মাদারীপুরে মামলা, গ্রেফতার ২

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১ জুন, ২০২০
জুলহাস

মাদারীপুর প্রতিনিধি: লিবিয়ায় মানব পাচারের ঘটনায় মাদারীপুরে ৩টি মামলা দায়ের করেছে ৩নিহতের পরিবার। ৩ মামলায় ১৪জনকে আসামী করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি লিবিয়ায় গুলি করে ২৬ বাংলাদেশি হত্যা করে মানব পাচারকারীরা। এদের মধ্যে অধিকাংশই মাদারীপুরের বাসিন্দা। এই ঘটনায় মাদারীপুরের রাজৈরে লিবিয়ায় নিহত জুয়েলের বাবা রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে দালাল জুলহাস সরদারসহ ৪ জনের নামে মানব পাচার আইনে মামলা করেছে রাজৈর থানায়। এছাড়াও রাজৈর থানার বদরপাশা ইউনিয়নের নিহত রহিম খালাসীর ভাই আবু সাইদ খালাসী বাদী হয়ে রাজৈর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলা জুলহাস সরদারসহ ৭জনকে আসামী করা হয়েছে। এদিকে একই ঘটনায় লিবিয়ায় নিহত ও মানব পাচারের শিকার মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালি ইউনিয়নের মো.শামিমের বাবা আব্দুল হালিম মিয়া বাদী হয়ে রবিবার মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় দালাল নজরুল ইসলামসহ তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। এই ঘটনায় রবিবার রাতেই মামলার আসামী দিনা বেগমকে গ্রেফতার করেছে। দিনা বেগম মানবপাচার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী এবং দালাল নজরুল ইসলামের স্ত্রী।
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিহত জুয়েল হাওলাদারের পিতা রাজ্জাক হাওলাদার ও মা রহিমা বেগম বলেন, “আমাদের ছেলেসহ রাজৈরের বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজনকে দালাল চক্র লিবিয়া নেওয়ার কথা বলে
প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪/৫ লাখ টাকা চুক্তি করে নিয়ে যায় ৩/৪ মাস আগে। তারপর লিবিয়ার ত্রিপলী না নিয়ে বেনগাজীতে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু করে। এরপর ভয়েজ রেকর্ডে নির্যাতনের শব্দ পাঠিয়ে আরো ১০ লাখ টাকা দাবী করে। আমরা হোসেনপুর জুলহাস সরদার নামের ওই দালালের বাড়িতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা দিয়ে আসি। লিবিয়ায় গুলি করে অনেক বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলেকেও পাচারকারীরা হত্যা করেছে।
একই গ্রামের নিখোঁজ মানিক হাওলাদারের পিতা শাহ আলম হাওলাদার বলেন, “আমার ছেলে মানিককে লিবিয়া নেওয়ার কথা বলে দালাল জুলহাস আমার কাছ থেকে প্রথমে ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে ছেলেকে বেনগাজী আটকে রেখে ভয়েজ রেকর্ডের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা দাবী করে। আমি আমার ছেলেকে আনতে জুলহাসের বাড়ি গিয়ে টাকা দিয়ে আসি।’’
রাজৈর থানার ওসি শওকত জাহান বলেন, মানব পাচারের ঘটনায় রাজৈর থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। দালাল জুলহাস দুটি মামলারই আসামী। একটি মামলায় ৭জন ও অপর মামলায় ৪জনকে আসামী করা হয়েছে। এদের মধ্যে জুলহাস করোনা পজেটিভ হওয়ায় পুলিশি হেফাজতে মাদারীপুর সদর হসাপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছে। মাদারীপুর সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, মানব পাচারের ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় দিনা বেগম নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।খবর২৪ঘন্টা/এবি

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST