ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩ অক্টোবর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি লালপুরে তলিয়ে গেছে সহস্রাধিক পরিবার

অনলাইন ভার্সন
অক্টোবর ৩, ২০১৯ ১:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: ভারতের ফারাক্কা বাঁধের সব কয়টি গেট খুলে দেওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ফলে নাটোরের লালপুর উপজেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের কয়েক হাজার একর জমির ফসল ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিন সহস্রাধিক পরিবার। উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের পদ্মার চরে বসবাসকারী সব মানুষকে সরিয়ে নিতে খুলে দেওয়া হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র গুলি। ঝুকিতে আছে নদী তীরবর্তি কয়েক হাজার পরিবার।

স্থানীরা জানান, বিগত কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার নওসারা সুলতানপুর, দিয়াড়শঙ্করপুর, চাকলা বিনোদপুর, আরাজি বাকনাই, রসুলপুর, বাকনাই, বন্দোবস্ত গোবিন্দপুর, কাগমারি ও লালপুর চরের বসত বাড়িতে পানি উঠেছে। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে তিন সহস্রাধিক পরিবার। এছাড়া উক্ত এলাকার ৫শ একর জমির আখ, ৩শ একর সবজিসহ কয়েক হাজার একর জমির ফসল এবং প্রায় অর্ধশত পুকুর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে উক্ত

এলাকার হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে। বন্যায় ফসল ও বাড়িঘর ডুবে যাওয়া আব্দুল আজিজ জানান, বিগত কয়েক বছরে এমন বন্যা হয়নি, আমার বাড়ি ঘর,ও জমির ফসল সব পানিতে তলিয়ে গেছে, এখন আমি নিঃস্ব,পরিবার পরিজন নিয়ে কি ভাবে চলব? আব্দুল আজিজের মত অবস্থা এ অঞ্চলের সকলের। দ্রুত প্রযাপ্ত ত্রান ও ক্ষতি পুষিয়ে দিতে সরকারের সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন তারা। তিলপুর গ্রামের জমশেদ আলী জানান, কয়েক স্থানে বøক বাধ ডুবে গেছে এবং যে ভাবে পানি বাড়ছে তাতে করে কয়েকদিনের মধ্যেই নদী তীরবর্তি কয়েক হাজার পরিবাও ঝুকিতে রয়েছে।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান, ‘পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ ১২০টি পরিবারের মধ্যে সুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে, বিলমাড়িয়া লালপুর এবং ঈশ্বরদী এই তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের কাছে ত্রান চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ওই তিন ইউনিয়নেই আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, চরে বসবাসকারী মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্র ও অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে তবে এখনও কেউ কেউ চরের মধ্যেই অবস্থান করছে।

খবর২৪ঘণ্টা, এমকে

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।