লাইভে এসে মাহি বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমি মাহিয়া মাহি। আমি এখন হারাম শরিফে আছি, মক্কাতে। সবাই নিশ্চয়ই জানেন যে আমি ওমরা পালন করতে এসেছি। এজন্য ফোন-কল রিসিভ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইবাদত করতে এসেছি, ইবাদত ঠিকমতো করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমি যেটা বলার জন্য ভিডিওটা করছি সেটা হচ্ছে যে… আমি সেদিনও ভীষণ বিব্রত ছিলাম, নিজের আত্মসম্মান বোধে কতটুকু আঘাত লেগেছে, তা আমি জানি আর আমার আল্লাহ জানেন এবং আজকেও আমি ভীষণ বিব্রত। আমি নিজের কাছে নিজে তো ছোট হয়েছিই দেশবাসীর কাছে আরও একবার ছোট হলাম। কিন্তু আপনারা নিজে থেকে একবার চিন্তা করে দেখবেন, এই ভাষার প্রতিউত্তর, এই ব্যবহারের প্রতিউত্তর আমার আসলে কী দেওয়া উচিৎ ছিল! কিছু বলার ভাষা আমার ছিল না। আমি সেজন্যই কোনো প্রতিবাদ করিনি। আমার নিজের মতো করে যেভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়া উচিত আমি চুপ করে থেকেছি, পাশ কাটিয়ে গেছি।’
মাহি বলেন, ‘এটা ঠিক দুই বছর আগের একটি ঘটনা ছিল। আমি বরাবরের মতোই আল্লাহর কাছে বলেছি, আল্লাহ আমি কষ্ট পেয়েছি। যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি, কোনো না কোনো দিন সেই রেজাল্টটা তিনি পাবেন এবং তিনি পেয়েছেন। এটা প্রমাণিত। আলহামদুলিল্লাহ…।’
এরপর মাহি বলেন, ‘আমি সাংবাদিক ভাইদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য লাইভে এসেছি। এই বিষয়টা নিয়ে আসলে এখানে কথা বলার মতো কিছু নেই। আপনারা আমার জায়গা থেকে আমার হয়ে চিন্তা করবেন, যে আসলে আমি দোষী কি না….। আমি এতটুকুই বলব, সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
তিনি বলেন, ‘দোয়া করবেন যাতে আল্লাহ আমাদের ওমরাহ কুবল করেন। আল্লাহ স্বাক্ষী, আমার কোনো দোষ ছিল না। আমি জাস্ট একটা পরিস্থিতির শিকার ছিলাম, আসসালামু আলাইকুম।’
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার রাতে তাকে পদত্যাগের এ নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কাদের জানান, মঙ্গলবারের মধ্যে মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
জেএন