আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে লজ্জার রেকর্ড গড়ে হেরেছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের দেওয়া ৭৪ রানের লক্ষ্য মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই পেরিয়ে যায় অজিরা। বাকী ছিল আরো ৮২ বল। টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড।
অজি বোলারদের তোপে ২০ ওভারও টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ১৫ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের সংগ্রহ ৭৩ রান। নিজেদের টি-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান।
এর আগে ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ রানে অল আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। এটাই বিশ্বকাপে টাইগারদের সর্বনিম্ন স্কোর। আগের ম্যাচেই ৮৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলেন মুশফিক-রিয়াদরা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৮ রান যোগ করেন ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। ২০ বলে ৪০ রান করে ফিঞ্চ ফিরলেও অজিদের বড় জয়ে তা কোনো প্রভাব ফেলেনি। দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে ফেরার আগে ১৮ রান করেন ওয়ার্নার।
মিচেল মার্শ ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। বাংলাদেশের পক্ষে উইকেট দুটি নেন তাসকিন ও শরিফুল ইসলাম।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও নাইম শেখ। মুখোমুখি প্রথম বলেই স্টার্কের বলে বোল্ড হন লিটন। কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন টাইগার ওপেনার।
সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমও এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ। জশ হ্যাজেলউডের বলে ফেরার আগে সৌম্য করেন ৫ রান। পরের ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ডেলিভারিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ১ রানে আউট হন মুশফিক।
মাত্র ১০ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন নাইম ও রিয়াদ। ১৭ করে নাইম ফিরলে ভাঙে দুজনের ২২ রানের জুটি। এরপর রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন আফিফ হোসেন ও মাহেদী হাসান।
৩৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পঞ্চাশের নিচেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল। তবে রিয়াদ ও শামিম পাটোয়ারির ব্যাটে দলীয় অর্ধশতক পেরিয়ে যায় টাইগাররা। ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে শামীম করেন ১৯ রান। দলের পক্ষে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৬ রানের ফেরার পর শেষ দিকে টিকে থাকার চেষ্টা করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। তবে কেউই বড় সংগ্রহ পাননি। দ্য ফিজ ৪ রানে আউট হন। ৬ রানে অপরাজিত থাকেন তাসকিন।
এই ম্যাচে একাই ৫ উইকেট শিকার করেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। এছাড়া মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড দুটি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল একটি উইকেট শিকার করেন।
বিএ/