খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার যাতে না বাড়ে এবং আক্রান্ত রোগী যাতে নিয়ম মেনে সুস্থ হয়ে ওঠেন, সে জন্যই রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে লকডাউনের আওতাভুক্ত এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণ যাতে কোনও হয়রানির স্বীকার না হন সে জন্যই সরকার রেড জোন ঘোষিত এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
লকডাউন হওয়া বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসকরা আশা করছেন রেড জোনের মাধ্যমে কার্যকর করা এই লকডাউনে করোনার সক্রমণ কমবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের যেসব এলাকায় একটি নির্দিষ্ট তারিখ থেকে গত ১৪ দিনে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতি লাখে ১০ জন বা এর অধিক পাওয়া যাবে সেসব এলাকাকে রেড জোনের আওতায় ফেলে সেখানে সংক্রমণ যাতে আর না বাড়ে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন নিয়ে লকডাউনের সুপারিশ করবেন সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জনের পরামর্শক্রমে লকডাউন বাস্তবায়ন করবেন স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। জনপ্রতিনিধিদেরও একাজে সম্পৃক্ত থাকার কথা বলেছে সরকার। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের ১৫টি জেলার বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন চলছে।
এই জেলাগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রাম, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, যশোর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী ও কুষ্টিয়া।
এসব জেলার কিছু কিছু এলাকায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতি লাখে ১০ জন ছাড়িয়ে গেছে বিধায় রেড জোন ঘোষণা করে সেখানে ২১ দিনের জন্য লকডাউনের সুপারিশ করেছে জেলার সিভিল সার্জন।
জেলার সিভিল সার্জনের সুপারিশের ভিত্তিতে লকডাউন কার্যকর করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এএইচআর