1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সহায়তার আশ্বাস চীনের - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ০৫ জানয়ারী ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সহায়তার আশ্বাস চীনের

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১৮

খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে চীন। রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে চীনের সক্রিয় সহায়তা চাইলে বাংলাদেশকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়।

আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বেইজিংয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংয়ির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী চীনের স্টেট কাউন্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি-র আমন্ত্রণে গতকাল বৃহস্পতিবার চীন সফরে গেছেন।

বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনা পক্ষকে মিয়ানমার থেকে জোর করে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিতাড়িত রোহিঙ্গারা এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত যে তারা তাদের ফেরার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার পূর্ণ নিশ্চয়তা চায়। তারা তাদের নিজেদের মূল গ্রামে ফিরে যেতে চায়, কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে নয়। তাদের জীবিকা অর্জনের সুযোগ দেওয়া আবশ্যক।’

বাংলাদেশ এসব স্থানচ্যুত মানুষের দ্রুত প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি ও রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে মিয়ানমার সরকারকে উৎসাহিত করতে চীনের সক্রিয় সহায়তা চেয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসন এবং সেখানে গৃহনির্মাণ, অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে তাঁর দেশের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উভয় পক্ষ ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সফরকালে স্বাক্ষরিত যৌথ ইশতেহারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতি পর্যালোচনা করে।
এ ছাড়া চীনের প্রেসিডেন্টের সফরকালে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতিও আলোচনা করা হয়।
এ এইচ মাহমুদ আলী এসব প্রকল্প চূড়ান্তকরণ ও দ্রুত বাস্তবায়নে তার প্রতিপক্ষের সহায়তা কামনা করেন।

বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মতো সহযোগিতার অন্যান্য বিষয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
উভয় পক্ষ দুই দেশের উচ্চপর্যায়ে এবং জনগণ পর্যায়ে অব্যাহত আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে এবং অঞ্চলের অভিন্ন উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কিশানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি, বিশেষ করে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন।

চীনা নেতা কিশান বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে অবদান রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার ও গভীর করতে তাঁর দেশের অব্যাহত সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন।

কিশান বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হতে যাওয়ায় চীন আনন্দিত। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম উপস্থিত ছিলেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিং করা হয় এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে এক মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। পরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

খবর ২৪ঘণ্টানই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST