খবর২৪ঘন্টা ডেস্কঃ
নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে। বুধবার তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের পক্ষে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে এসব রোহিঙ্গাকে পর্যাক্রমে ফেরত নেওয়া হবে।’
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কামাল জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফায় ২৪ হাজার ২৪২ জন রোহিঙ্গাদের একটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য গঠিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওর্য়াকিং গ্রুপের প্রতিনিধিরা কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছায় যৌথ প্রতিনিধি দলটি। তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শন করে এবং নির্যাতিত কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গার সাথে কথা বলে।
পরে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডি-৫ ব্লকে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন তারা। এ সময় ঢাকার পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক। প্রত্যাবাসনের জন্য গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠকে যোগ দিতে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলটি দুই দিন আগে ঢাকায় পৌঁছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠক করে।
এদিকে, মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসায় খুশি রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের দাবি, তাদের এনডিসি কার্য নয়, বরং মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দিয়ে ফেরত নেওয়া হোক।
খবর২৪ঘন্টা / সিহাব