খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: রোববার (২ সেপ্টেম্বর) শুভ জন্মাষ্টমী, শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। দ্বাপর যুগে পৃথিবী থেকে দুরাচার, দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই দিনে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
পাশবিক শক্তি যখন সত্য সুন্দর ও পবিত্রতাকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই অসুন্দরকে দমন করে জাতিকে রক্ষা এবং শুভ শক্তিকে প্রতিষ্ঠার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে।
**জন্মাষ্টমীতে কিছু সড়ক এড়িয়ে চলার অনুরোধ ডিএমপির
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে। এই তিথিতে মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসের কারাগারে বন্দি দেবকি ও বাসুদেবের ক্রোড়ে জন্ম নেন শ্রীকৃষ্ণ।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি পালনে অন্যবারের মতো এবারও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা আয়োজন করা হয়েছে।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মৈত্রীর বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে জাতীয় অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি অর্জনে তা কাজে লাগাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন। যেখানে অন্যায়-অবিচার ধরাধামকে গ্রাস করেছে, সেখানেই শ্রীকৃষ্ণ আবির্ভূত হয়েছেন আপন মহিমায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশের সব নাগরিকের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে বলেছেন, শ্রীকৃষ্ণ তার জীবনাচরণ এবং কর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের আরাধনা করেছেন।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দেশে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
বর্তমান সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা বাঙালির হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমার বিশ্বাস।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে থাকছে নানা আয়োজন। রাজধানীর মিরপুরের আন্তর্জাতিক কৃষ্ণাভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ছয় দিনব্যাপী কর্মসূচি নিয়েছে দিবসটি পালন উপলক্ষে।
এছাড়া দিনটি উপলক্ষে ঢাকার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে গীতাযজ্ঞ, কৃষ্ণপূজা, শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, কীর্তন, আরতি, প্রসাদ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।
জেএন