নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা বৃষ্টিতে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের একটি রাস্তায় হাঁটু সমান পানি জমে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ৭০০ পরিবারকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংস্কারের অভাবে বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। রাস্তা দ্রুত সংস্কার ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে জানান স্থানীয়রা।
জানাগেছে, উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর (চেতনার) মোড়ের ওই রাস্তা দিয়ে ৪/৫ গ্রামের মানুষ প্রায় ২০ বছর ধরে দুর্ভোগ নিয়ে চলাফেরা করে আসছে। রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের কিছু প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় সামান্য রাস্তা ইটের খোয়া দিয়ে বেড করা হয়েছিল । সেটিও এখন আর নেই। সংস্কারের অভাবে কাদা-মাটির প্রলেপ পড়ে ওই রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ঘটে ছোটবড় অসংখ্য দুর্ঘটনা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়ে আসলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। বিশেষ করে এখানে একটি মাদ্রাসা রয়েছে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান নিয়ে অবিভাবকরা অসম্ভব চিন্তায় পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তার শুরুতে কাদা মাটির প্রলেপ পড়ে আছে যা মানুষের চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তার ৪০০ মিটার রাস্তায় গ্রামের ভিতরে যাওয়ার মত পরিস্থিতি নাই বললেই চলে। রাস্তার বেশির ভাগ বৃষ্টির কারনে হাঁটু পানিতে পরিপূর্ণ। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কয়েকটি গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। পাশা একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করতে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ছমির বলেন, বছরের পর বছর ধরে রাস্তাটি চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে রাস্তাটিতে কাদা আর হাঁটুপানি জমে থাকে। এ অবস্থা থেকে গ্রামবাসী পরিত্রাণ চায়। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দাবি রাস্তাটি নজরে এনে এলাকার মানুষের জন দুর্ভোগ যেন লাঘব করে।
এব্যাপারে মাড়িয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন বলেন,রাস্তাটির ব্যাপারে কতৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
এবিষয়ে, দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা শারমিন বলেন, গ্রামীন রাস্তা ঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। রাস্তায় জলাবদ্ধতা জনদুর্ভোগের বিষয়টি দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএ..
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।